নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: কাঁথি :: রবিবার ১২,মে :: ছেলেকে আশীর্বাদ করুন, জেতান। আন্তর্জাতিক মাতৃ দিবসের দিন, সমস্ত মা-বোনেদের এভাবেই কাতর আবেদন জানালেন, তৃণমূল প্রার্থী উত্তম বারিকের মা সন্ধ্যাদেবী। মা মাটি মানুষের দল তৃণমূল কংগ্রেসের, কাঁথির প্রার্থী উত্তম বারিকও এমন দিনে মাকে প্রনাম করে, স্বর্গীয় পিতাকে স্মরণ করে, প্রচার শুরু করলেন নিজের ব্লক দেশপ্রানে।
গোটসাউড়ি গ্রামের এই গোবিন্দ ভবনেই জন্মগ্রহণ করেছিলেন উত্তম। বাবা বীরেন্দ্রনাথ বারিক ফুলেশ্বর দিগম্বরী হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। বেতনের বেশিরভাগটাই বিদ্যালয়ের উন্নয়ন ও মানুষের উপকারে খরচ করে ফেলতেন বীরেন্দ্রনাথ বাবু। আর তখনকার দিনে প্রধান শিক্ষকদের বেতন এত বেশি ছিল না। ফলে ছোট থেকেই দারিদ্রতার সঙ্গে লড়াই করে বড় হয়েছেন উত্তম।
ধাপে ধাপে পড়াশোনার গণ্ডি পেরিয়ে ইতিহাসে মাস্টার ডিগ্রী করেছেন গ্রামের ছেলে উত্তম। বছর বারো আগে বীরেন্দ্রনাথবাবু গত হয়েছেন। তারপর থেকেই তিন ছেলে উত্তম, দিলীপ ও স্বপন সহ নাতি নাতনিদের নিয়ে গোটসাউরির এই গ্রাম্য পরিবেশের বাড়িতে থাকেন ৭২ বছরের সন্ধ্যাদেবী। বাড়ির দিকে এক ঝলক তাকালে সহজেই বোঝা যায় একেবারে গ্রাম্য মধ্যবিত্ত পরিবার।
উঠোনে তুলসি মঞ্চ। প্লাস্টার না হওয়া অসমাপ্ত দোতলা পাকা বাড়ি। বৃষ্টির ঝাপটা থেকে বাঁচতে পলিথিনের পর্দা। উঠোনে খড়ের গাদা। আর বাড়ির চারদিকে ছিটে বেড়ার সীমানা প্রাচীর। এই সাধারণ বাড়ির বড় ছেলে পিলুই, মানুষের ভালোবাসায় আজ হয়ে উঠেছেন জেলা সভাধিপতি উত্তম বারিক।