কাকুলিয়া জোড়া খুন কান্ডে মূল অভিযুক্তে সঙ্গে নিয়ে ডায়মন্ডহারবারে হানা দিলো পুলিশ

সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ : বারুইপুর :: সুদেষ্ণা মন্ডল , দক্ষিণ ২৪ পরগনা :- কাকুলিয়া জোড়া খুন কান্ডে তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করতে মূল অভিযুক্তে সঙ্গে নিয়ে ডায়মন্ডহারবার থানা এলাকার বিভিন্ন জায়গায় ঘুরল কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড শাখার তদন্তকারী অফিসাররা। খুনের প্রায় সপ্তাহ তিনেকের মাথায় মুম্বই থেকে কাঁকুলিয়া খুনের মূল অভিযুক্ত ভিকি হালদার ও তার সঙ্গীকে গ্রেফতার করেছে লালবাজারের গোয়েন্দা শাখার পুলিশ। মঙ্গলবার ধৃতদের আলিপুর আদালতে তোলা হয়।

কাকুলিয়ায় খুনের ঘটনায় অভিযুক্তদের ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হয়। খুনের কারণ, অস্ত্র উদ্ধার ও ঘটনার পুনর্নিমাণের জন্য পুলিশি হেফাজতে আবেদন করা হয়। আলিপুর আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করে। ১৩ নভেম্বর ধৃতদের ফের আদালতে পেশ করা হবে। তদন্তকারীদের অনুমান, ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে খুনের নানা তথ্য উঠে আসতে পারে। ইতিমধ্যেই ডায়মন্ডহারবারে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। ভিকির দুই সঙ্গী জাহির গাজী ও বাপি মন্ডলকে নিয়ে এদিন ডায়মন্ডহারবারে বিভিন্ন এলাকা অভিযান চালায় তদন্তকারীরা।

সন্ধ্যা নাগাদ ডায়মন্ডহারবার থানা চত্বর থেকে বেড়িয়ে ধৃতদের নিয়ে কপাটহাট হয়ে মঞ্জিতা ও রামরামপুর এলাকার উপর দিয়ে হুগলি নদী সংলগ্ন আব্দালপুর এলাকায় পৌছায়। পুলিশ সূত্রের খবর, খুনের পর রাতে ফিরে বাপি ও জাহির সহ আর কে কে আব্দুলপুরের ইঁটভাটা চত্বরে জাহিরের অস্থায়ী ঘরে লুকিয়ে ছিল বা ওই ঘরে আরও প্রমাণ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখার জন্য ঘরটিও রেইকি করে গোয়েন্দারা।

ধৃতদের নিয়ে আবারো ডায়মন্ড হারবার থানায় ফিরে গাড়ির ভেতরে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ । গভীর রাতে ওই সমস্ত এলাকায় আবারও তল্লাশি অভিযান চালানো হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা সূত্রে খবর, খুনের পর ব্যবসায়ী সুবীর চাকি ও তার গাড়ি চালকের আঙুল থেকে সোনা ও রূপোর আংটি খুলে নিয়েছিল ভিকি। তার এক বন্ধুর কাছে জমা রেখেছিল। ওই আংটির বিনিময়ে ৫ হাজার টাকা নিয়েছিল ভিকি। আর সেই টাকাকেই পুঁজি করে বাণিজ্যনগরীতে পাড়ি দেয় ভিকি। বাণিজ্য নগরীতে গিয়ে একটি সিকিউরিটি গার্ডের কাজ বাগিয়ে নেয় ভিকি। মোবাইল ফোন ও ব্যবহার করছিলোনা সে । অবশেষে তার পুরোনো নম্বরের ভিত্তিতে ভিকি কে গ্রেফতার করে পুলিশ ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × one =