নিজস্ব সংবাদদাতা :: হাওড়া :: সংবাদ প্রবাহ :: কার্গিল বিজয় দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার সকালে হাওড়ার রামকৃষ্ণপুর ঘাটে অবস্থিত অমর জওয়ান জ্যোতি স্মৃতিসৌধে কার্গিল যুদ্ধে শহীদ বীর সৈনিকদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। অনুষ্ঠানে ভারতীয় সেনাবাহিনীর রাজপুত রেজিমেন্টের সৈন্যরা বিউগল ধ্বনিতে সশস্ত্র স্যালুট প্রদান করেন। বিজেপির রাজ্য সম্পাদক উমেশ রাই, আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি, হাওড়ার প্রাক্তন মেয়র ডাঃ রথীন চক্রবর্তী, বিজেপি নেতা সঞ্জয় সিং, জেলা সদর বিজেপি সভাপতি মণিমোহন ভট্টাচার্য, প্রবীণ রাজনীতিবিদ সুপ্রীতি চ্যাটার্জি, সুভাষ ঝা, সুরেন্দ্র ভার্মা, প্রমোদ সিং সহ স্থানীয় সমাজকর্মীরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
ওম প্রকাশ সিং, বদ্রী নারায়ণ সিং, প্রদীপ তিওয়ারি অনুষ্ঠানে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। বিজেপির রাজ্য সম্পাদক উমেশ রাই বলেন, ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার সাথে সাথে দেশ ভাগ হয়।আর তখন থেকেই ভারতকে দুর্বল করার ষড়যন্ত্র শুরু হয়। সময়ে সময়ে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও বৈদেশিক বিষয়ে ভারতের বিরুদ্ধে প্রতিবেশী দেশগুলোর ষড়যন্ত্র চলতে থাকে। ১৯৯৯ সালে যখন ভারতের সফল প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বে এপিজে আবদুল কালাম পারমাণবিক পরীক্ষার প্রস্তুতি নেন, তখন পাকিস্তান কার্গিলে যুদ্ধ শুরু করে। প্রায় দু’মাস ধরে চলা ভয়াবহ যুদ্ধে ভারত যেমন পাকিস্তানকে নতজানু হতে বাধ্য করেছিল, তেমনি পারমাণবিক পরীক্ষা চালিয়ে ভারত বিশ্বের পরমাণু শক্তিধর দেশগুলোর সাথেও যোগ দেয়।
এই যুদ্ধে আমাদের ৫৫০ জন সৈন্য শহীদ হন এবং ১,৪০০ জনেরও বেশি সৈন্য আহত হন। তাঁদের আত্মত্যাগে আজ ভারত সর্বক্ষেত্রে শক্তিশালী হয়েছে এবং আজ বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। আজ ভারত উদযাপন করছে স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব।