নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: মালদহ :: শনিবার ২৪,ফেব্রুয়ারি :: মুক্তা কী শুধু সমুদ্রেই পাওয়া যাবে অন্য কোথাও নয়!এ ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। এবার ‘ ন্যাবার্ড ‘ এর উদ্যোগে বীরভূমের চাষীদের নিয়ে এবং পার্শ্ববর্তী চারটি জেলার কৃষি আধিকারিকদের নিয়ে একটি প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করা হয় শনিবার দুপুর ২ টো নাগাদ বীরভূম জেলার মল্লারপুর নইসুভা প্রডিউসার কোম্পানিতে।
সেখানে চাষীদের ড্রাগন ফল চাষের পাশাপাশি মাছ চাষ এবং তার সাথে কিভাবে মাছ চাষের পুকুরে মুক্তা চাষ করা যায় তার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। মাছ চাষের পুকুরে একই সঙ্গে মুক্তা চাষ করলে অনেকটাই লাভবান হবেন চাষিরা বলে মনে করছেন সবাই। তবে বীরভূমের ডিস্ট্রিক্ট ডেভলপমেন্ট ম্যানেজার অনুপম পাটনায়েক আমাদের জানান ইতিমধ্যে বীরভূম ময়ূরেশ্বরের নজরুল সুকান্ত ক্লাবের প্রায় ১৫০ জন মহিলাদের নিয়ে একটি প্রশিক্ষণ চালানো হয়।
প্রায় ১৫ দিন ধরে চলে এ প্রশিক্ষণ শিবির এবং সেখানে বাড়ির মহিলাদের শেখানো হয় কিভাবে ঝিনুক সংগ্রহ করতে হবে,কিভাবে সেটিকে অপারেট করতে হবে এবং নিউক্লিয়েস কিভাবে বসাতে হবে সবকিছু সবিস্তারে শেখানো হয়। এবং তারপরেই প্রায় ১২০ থেকে ১৩০ জন মহিলা নিজেদের বাড়িতে ঝিনুক চাষ করছেন।তবে এখনও ফাইনাল প্রোডাক্ট হাতে পেতে বেশ কিছুদিন সময় লাগবে।
কারণ ঝিনুক অপারেট করা থেকে শুরু করে ঝিনুক থেকে মুক্তা বেরোনো পর্যন্ত প্রায় ১৮ মাস সময় লাগে। তবে চাষিরা কোথায় থেকে পাবে এই ঝিনুক। এ বিষয়ে তিনি জানান বীরভূমের বিভিন্ন ধানের জমিতে খাল বিলের মধ্যে এই ঝিনুক পাওয়া যায়।শুধুমাত্র নিউক্লিয়েস বাইরে থেকে আনতে হয়।
একটি ঝিনুকের জন্য খরচা হয় মাত্র ১০ টাকা এবং সেখান থেকে চাষ করে মুক্তা পেতে হাতে সময় লাগে ১৮ মাস এবং সেই মুক্তা ২০০-৫০০ এবং ভালো মানের হলে ১০০০ টাকাতেও বিক্রি হয়। যদি এই মুক্তা চাষ বীরভূমে সফল হয় তাহলে বাড়ির মহিলারা এবং চাষীরা অনেকাংশে উপকৃত হবে।