সজল দাশগুপ্ত :: সংবাদ প্রবাহ :: নিউজ ব্যুরো :: শুক্রবার ১৩,অক্টোবর :: বর্তমানে যেমন বিশ্বকাপ নিয়ে উন্মাদনা, আগেও ঠিক এমনটাই ছিল। ঠিক সেদিনও রিলায়েন্স বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে শ্রীলঙ্কার ম্যাচ চলছিল। ভিভিয়ান রিচার্ডস তাঁর জীবনের অন্যতম সেরা ইনিংসে ১৮১ রান করছিলেন। সেই দিন নিজের জীবনের ইনিংস শেষ করে মহাপ্রস্থানের পথে পাড়ি দিলেন কিংবদন্তি সংগীত শিল্পী কিশোর কুমার।
সেদিন ছিল তাঁর দাদা অশোককুমারের জন্মদিন। দাদাকে তিনি বলেছিলেন আসতে, এক সঙ্গে উদযাপন করবেন বলে জানান। বিকেলের দিকে তিনি বুকে ব্যথা, অস্বস্তি অনুভব করেন। লীনা চন্দ্রভারকার তখন ডাক্তার কে ফোন করবেন, কিশোর কুমার বলেন ডাক্তারকে ডেকো না ডাক্তারকে ডাকলে আমার হার্ট এ্যাটাক হয়ে যাবে। তিনি বুঝে গিয়েছিলেন,কোন ডাক্তারই আর তাকে জীবন দান করতে পারবে না।
কোন বৈজ্ঞানিকের দ্বারা বলা সম্ভব নয় কিভাবে কিশোর কুমার হওয়া যায়, কিভাবে প্রথাগত শিক্ষার ছিঁটেফোটা না থাকা পরেও একটা মানুষ সাংগীতিকভাবে এমন অসামান্য দক্ষতার অধিকারী হয়! ঠিক তেমনি কিশোর কুমারের জীবন, তাঁর সংগীত, তাঁর বহুমুখী দানবীয় প্রতিভা, তাঁর মৃত্যু ঈশ্বর তাঁর বিচিত্র খেয়ালে রচনা করেছেন। সেটা তিনি নিজেও ভালো জানতেন।
৩৬ বছর মানুষটা নেই কিন্তু কি প্রবলভাবে তিনি আছেন, সকলের হৃদয়ে, তাঁর ঈশ্বরিয় কণ্ঠের আবেদনে, প্রত্যেকটি তিনি আমাদের রক্তে মিশে রয়েছেন। জাগতিকভাবে তিনি হয়তো নেই, কিন্তু জাগতিকভাবে প্রত্যেকটা মুহূর্তে আমাদের তিনি বাঁচিয়ে রেখেছেন। তাই তিনি কিশোর কুমার। আজ তাঁর মহাপ্রয়াণ দিবসে রইলো সংবাদ প্রবাহের সশ্রদ্ধ প্রণাম ।