আনন্দ মুখোপাধ্যায় :: সংবাদপ্রবাহ টিভি :: ৩রা,ফেব্রুয়ারি :: নয়াদিল্লি ::
কৃষক আন্দোলন বিপাকে দেশ
আন্দোলন নিয়ে বেশ বিপাকেই পড়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আন্দোলন দমাতে এখন তাকে প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধেও আইনের আশ্রয় নিতে হচ্ছে। ভারতে কৃষক বিক্ষোভ সমর্থনকারী ২৫০টি অ্যাকাউন্ট সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে মাইক্রো ব্লগিং সাইট টুইটার। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে টুইটারকে আইনি নোটিস পাঠানোর পর এই সব অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
খবরে বলা হয়েছে, নরেন্দ্র মোদি সরকার প্রণিত নতুন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে ভারতজুড়ে চলমান কৃষক বিক্ষোভ তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। গত ২৬ জানুয়ারি কৃষকদের ট্রাক্টর মিছিলকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে দিল্লি। দফায় দফায় পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও অনেকে কৃষকদের সমর্থনে বিভিন্ন হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে পোস্ট দিচ্ছেন।
সম্প্রতি টুইটারে একাধিক অ্যাকাউন্ট থেকে কৃষক আন্দোলনে উসকানি দেওয়ার অভিযোগ তোলে কেন্দ্রীয় সরকার। অভিযোগ জানিয়ে টুইটার কর্তৃপক্ষকে চিঠি পাঠায় তারা। তারই ভিত্তিতে এবার ২৫০টি অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হলো। এগুলোর মধ্যে রয়েছে-কিসান একতা মোর্চা, মানিক গয়াল, ট্রাক্টর২টুইটার, জাটথজাংশন। এই সব অ্যাকাউন্ট থেকে কৃষি আইনের বিরুদ্ধে লাগাতার লেখালেখি চলছে বলে অভিযোগ করা হয়েছিল। এছাড়া কৃষক বিক্ষোভের সংবাদ সংগ্রহকারী সাংবাদিকদের অ্যাকাউন্টও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
বন্ধ হয়ে যাওয়া এসব অ্যাকাউন্টে ঢুকে দেখা গেছে সেগুলো ফাঁকা হয়ে আছে। সেখানে লেখা আছে-‘একটি আইনি দাবির ভিত্তিতে আপনার অ্যাকাউন্টটি সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে।’ টুইটারের এক বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা যদি কোনও কনটেন্ট বা অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে অনুমোদিত সত্ত্বার কাছ থেকে বৈধ ও যথাযথ উপায়ে প্রেরিত অভিযোগ পাই, তবে তা স্থগিত করি। যে কনটেন্ট বা অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে স্থানীয় আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে তার বিচারিক নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এগুলো বন্ধ থাকবে।
কৃষক আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার ঘটনার পরই দিল্লির সীমানায় আন্দোলনস্থল এবং আশপাশের এলাকাগুলিতে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সেই নির্দেশের পরই এ বার টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে আরও কড়া বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করল কেন্দ্রীয় সরকার।