কোনরকম হিংসাকে বরদাস্ত করা হবে না বাংলায়, এমনই কড়া বার্তা দিলেন রাজ্যপাল

সুদেষ্ণা মন্ডল  :: সংবাদ প্রবাহ :: ভাঙড় :: শুক্রবার ১৬,জুন :: মনোনয়নপত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে কার্যত অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি হয়ে উঠেছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়। মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার প্রথম দিন থেকেই কার্যত মুড়ি-মুড়কির মতন এলাকায় পড়েছে বোমা। চলেছে গুলি । একের পর এক গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে ।

অশান্তির ঘটনায় এই পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে তিন জনের । আহত হয়েছে বেশ কয়েকজন। বৃহস্পতিবার ছিল শেষ দিন । সেই শেষ দিনেও একবারে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল গোটা ভাঙড়ের ১ ও ২ নম্বর ব্লক । এলাকায় বোমা ও গুলির আওয়াজ সকাল থেকেই শোনা যাচ্ছিল । বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে একে অপরের বিরুদ্ধে মারধর ও বোমাবাজির করার অভিযোগ উঠে ।

এই অশান্তির ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় তিনজনের। রাজ্যের এই অশান্তির ঘটনায় ওই দিনই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন রাজ্যপাল সি. ভি .আনন্দ বোস। শেষপর্যন্ত শুক্রবার সয়ং চলে আসেন এলাকায় । বিভিন্ন সন্ত্রাস কবলিত এলাকাগুলি সরেজমিনে পরিদর্শন করেন তিনি । পাশাপাশি একাকার সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথাও বলেন রাজ্যপাল।

সাধারণ মানুষ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের মুখ থেকে বেশ কয়েকদিনের যে অশান্তির ঘটনা ঘটেছে সেই অশান্তির ঘটনা অতি মনোযোগ সহকারে শোনেন । এরপর ভাঙড়ে ১ নম্বর ব্লকের বিডিও অফিসে যান রাজ্যপাল । সেখানে বিডিও এর সঙ্গে কথা বলেন । এরপরে ২ নম্বর ব্লকের বিডিও অফিসেও যান । বিডিওর সঙ্গে দেখা করার পর ভাঙড় কলেজের উদ্দেশ্যে রওনা দেন ।

সেখানে বেশ কিছুক্ষণ প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। সমস্ত পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে কার্যত উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন , “বাংলায় কোন প্রকার অশান্তি বরদাস্ত করা হবে না। ভারতীয় সংবিধানকে মর্যাদা দিতে হবে” । এর পাশাপাশি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য আহ্বানও জানান রাজ্যপাল।

পুলিশ প্রশাসনকে এই চারদিনের ঘটনায় দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আদেশ দেন । সাংবাদিক সম্মেলনের পর মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন তিনি । রাজ্যপাল ভাঙড়ে আসা দিনও এলাকায় বহু জায়গা থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর তাজা বোমা। আর তা থেকে বোঝাই যায় কার্যত এখনো বারুদের স্তুপের উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে ভাঙড়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eighteen − 7 =