কৌতূহল দমন করতে না পেরে দরজা খুলে ফেলেন রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন। শর্ত ভাঙায়, বিগ্রহ অসম্পূর্ণ রেখে উধাও হয়ে যান বিশ্বকর্মা।

নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: নিউজ ডেস্ক :: শুক্রবার ২৭,জুন :: ভগবান শ্রীকৃষ্ণের নির্দেশে ভেসে আসা কাঠ দিয়ে কৃষ্ণেরই মূর্তি তৈরির কাজ শুরু করেছিলেন রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন। মূর্তি তৈরি করছিলেন ছদ্মবেশধারী বিশ্বকর্মা। শর্ত ছিল, বিগ্রহ তৈরির আগে কেউ তা দর্শন করতে পারবেন না।

কৌতূহল দমন করতে না পেরে দরজা খুলে ফেলেন রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন। শর্ত ভাঙায়, বিগ্রহ অসম্পূর্ণ রেখে উধাও হয়ে যান বিশ্বকর্মা। সেই থেকে অসম্পূর্ণ মূর্তিই পূজিত হয় দেশজুড়ে। রথযাত্রাও হয় সেই মূর্তি নিয়েই। তবে ব্যতিক্রম পূর্ব বর্ধমান জেলার কালনা।কালনার জগন্নাথতলায় সারা বছর অসম্পূর্ণ বিগ্রহ পূজিত হলেও বছরে তিনদিন তার ব্যতিক্রম হয়।

রথযাত্রা, স্নানযাত্রা ও উলটো রথযাত্রা। তিনটে দিন এই দেব-দেবীর মূর্তিতে হাত লাগিয়ে পূজার্চনা করা হয়। রথযাত্রার দিন এমনই এক ব্যতিক্রমী ছবি ধরা পড়ল কালনা শহরের জগন্নাথতলায়। গতবারের মতো এবারের রথ উৎসবেও ছিল না নজরকাড়া কোনও আয়োজন।

এদিন শুক্রবার সেই ছবি ধরা পরল কালনার জগন্নাথ তলা এলাকায়। এলাকাবাসীরা জানচ্ছেন বর্ধমান মহারাজার স্ত্রীকে স্বপ্নাদেশ দিয়েছিলেন স্বয়ং জগন্নাথ দেব,মহারানী সেই স্বপ্নাদেশ পাবার পরই এই প্রথা চলে আসছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twelve + eighteen =