নিউজ ডেস্ক :: সংবাদ প্রবাহ :: খড়গপুর :: শব্দতাণ্ডব চলেছে খড়গপুর শহর জুড়ে। আদালতের রায়কে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই দেদার বাজি উল্লাস চলছে খড়গপুর শহরের ইন্দা, খরিদা, গোলবাজার, মালঞ্চ, নিমপুরা, তালবাগিচা, রবীন্দ্রপল্লী, প্রেমবাজারে। সন্ধ্যা শুরু হতে না হতেই যে শব্দবাজির তাণ্ডব শুরু হয়ে যায় বলে অভিযোগ। রাত ন’টার পরও তা অব্যাহত থাকে। শব্দবাজির তাণ্ডব থেকে রেহাই পায় না রাস্তায় থাকা অবলা কুকুর-বিড়ালগুলি।
স্ট্রিট পজ সংগঠনে কর্মকর্তা কমলজিৎ সিং বলেন, “সম্ভবত চারদিন আগে খরিদা গুরদুয়ারের সামনে থাকা কুকুরটির সঙ্গে এই বর্বরতা হয়েছে। ছেলে কুকুরটির বাঁ পা উরু থেকে পুরোপুরি উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। উড়ে গিয়েছে ল্যাজের ৭৫ ভাগ। বাম চোখের নিচে গভীর ক্ষত রয়েছে।
কুকুরটিকে মারাত্মক জখম অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে ওখানকার কিছু যুবক আমাকে খবর দেন। কালীপুজোর দিন ওকে আমরা ট্রেস করতে পারি। ওর ল্যাজে পোকা হয়ে গিয়েছিল। বৃহস্পতিবার ওকে কিছুটা ওষুধ দেওয়া হয়। কিন্তু অপারেশন ছাড়া ওকে বাঁচানো সম্ভব নয় বলে আমাদের একজন ভেটনারের সাহায্য নিতে হয়। শুক্রবার দুপুরে অপারেশন করা হয়েছে কুকুরটির।”
কুকুরটির অস্ত্রোপচার করেন খড়গপুরের নামী পশু চিকিৎসক অসীম দে। তিনি বলেন, “প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে জোরাল বাজিতেই উড়ে গিয়েছে পায়ের অংশটি। যেভাবে হাড় আলাদা হয়ে গিয়েছিল, শিরা উপশিরা, টিস্যুগুলি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাতে মনে হচ্ছে বিস্ফোরণ ছাড়া এভাবে চামড়া ছিঁড়ে যেতে পারেনা। তার ওপর যন্ত্রণায় প্রায় মৃত্যুর মুখে চলে গিয়েছিল কুকুরটি। কমলজিৎদের সঙ্গে নিয়ে গুরদুয়ারের পেছনে একটি পাড়ায় কুকুরটির অপারেশন করা হয়েছে। অ্যানাস্থেশিয়ার প্রভাব কাটিয়ে আপাতত স্থিতিশীল রয়েছে। রবিবার থেকে আমরা আ্যন্টিবায়োটিক চালু করব। আশা করছি কুকুরটি বেঁচে যাবে।”