সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ :: গঙ্গাসাগর :: শুক্রবার ২২,ডিসেম্বর :: গঙ্গাসাগর মেলার আগে অনুষ্ঠিত হয় এই মেলা ।এই মেলাকে বলা হয় মিনি গঙ্গাসাগর মেলা।এই মেলাকে কেন্দ্র করে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পুণ্যার্থীরা এসে ভিড় জমায়। এই মেলা নাগ মেলা হিসাবে এলাকায় সুপরিচিত । মূলত এলাকার মানুষ এই মেলা কে সর্প দেবী মা মনসা সমর্পিত করে।
এই মেলা কে কেন্দ্র করে বিশেষ পুজোর ব্যবস্থা করা হয়। মনসা দেবীর পাশাপাশি নাগরাজ বাসকির পুজা করা হয়। এই মেলা শুরু হয় ডিসেম্বরের ১৯ তারিখে টানা ৬ দিন চলে এই মেলা। এই মেলাকে কেন্দ্র করে লক্ষ্ লক্ষ্ ভক্ত সমাগম হয় এই এলাকায়। এ বছর এই নাগমেলা ৪৪ তম বর্ষে পদার্পণ করেছে। নাগ মেলার ইতিহাস বহু পুরনো। ১৩৮৭ বঙ্গাব্দে এই মেলার শুভ সূচনা করা হয়।
এই মেলা শুরু হওয়ার পিছনে ছিল অন্য একটি কারণ তৎকালীন সুন্দরবনের গভীর জঙ্গলে সাগরের অধিকাংশ মানুষ সর্প দংশনে মারা যেত। তাই নাগ দেবতাকে সন্তুষ্ট করার জন্য মনসাদ্বীপের রামকৃষ্ণ মিশনের মহারাজ স্বামী সিদ্ধিদানন্দ, স্থানীয় চিকিৎসক শুভেন্দু রায় ও স্থানীয় যুবক অবন্তী কুমার মান্না সহ একাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গরা এই পুজোর প্রচলন শুরু করে। পরবর্তীকালে এই পুজোকে কেন্দ্র করে এলাকার মানুষজনেরা মেলার আয়োজন করে।
ওড়িশার কটক থেকে পুজোর ‘ধ্যান’ (নিয়মনীতি) নিয়ে এসে নাগ দেবতার পুজো শুরু হয়। স্থানীয় মানুষদের বিশ্বাস, তারপর থেকেই সাগরে সাপের উপদ্রব কমেছে। ক্রমশ লোকমুখে সেই বিশ্বাস সাগরের বাইরেও ছড়িয়ে পড়েছে। তাই প্রত্যেক বছরই মেলা দেখতে লক্ষাধিক মানুষ ভিড় জমান।