নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: ঠাকুরনগর :: মঙ্গলবার ২৮,জানুয়ারি :: মতুয়া ধর্মের প্রবর্তক শ্রীশ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের পুত্র শ্রীশ্রী গুরুচাঁদ ঠাকুর বলতেন, “খাও বা না খাও। / ছেলেমেয়েকে শিক্ষা দাও”। তাঁর শিক্ষা আন্দোলন ছিল বাংলাদেশের একটি সুবৃহৎ আন্দোলন। তাঁর নেতৃত্বে মতুয়া আন্দোলন আরো ব্যাপকতা লাভ করে।
তিনি শুধু ধর্ম নয়- রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সর্বোপরি শিক্ষার ক্ষেত্রে ব্যাপক চেতনা ও আন্দোলন গড়ে তুললেন, যা ইতিহাসে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করে। তাঁর পৌত্র প্রমথ রঞ্জন ঠাকুর ছিলেন নমশূদ্র সম্প্রদায়ের প্রথম ব্যারিস্টার। আইনি বিষয়ে নমঃশূদ্র সহ মতুয়াদের পাশে দাঁড়িয়ে লিগ্যাল সেলের প্রয়োজনীয়তা বার বার বলতেন পি আর ঠাকুর।
তাঁর অধরা স্বপ্নের বাস্তবায়নে এবার উদ্যোগী হলেন তাঁরই পুত্র কপিলকৃষ্ণ ঠাকুরের সহধর্মিনী তথা অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘের সংঘাধিপতি মমতাবালা ঠাকুর। পিছিয়ে পড়া দরিদ্র শ্রেণীর মতুয়াদের স্বার্থ রক্ষার্থে এবং আইনী শলাপরামর্শ, সহায়তা দানের জন্য গঠিত হলো অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘ লিগ্যাল সেল।
উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ঠাকুরনগরের ঠাকুরবাড়ি থেকেই সংঘাধিপতি তথা রাজ্যসভার সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরের হাত ধরে এই লিগ্যাল সেলের পথচলা শুরু হলো। এদিন তিনি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মুকুল বিশ্বাসকে লিগ্যাল সেলের কনভেনর হিসেবে ঘোষণা করেন। মুকুল বিশ্বাসের নেতৃত্বে এই লিগ্যাল সেলের কমিটি গঠিত হয়।