নিউজ ডেস্ক :: সংবাদ প্রবাহ :: কোলকাতা :: গড়িয়াহাট কান্ডের কাকুলিয়ার জোড়া খুনে চাঞ্চল্যকর তথ্যও সামনে এনেছে সংবাদ মাধ্যম সংবাদ প্রতিদিন ।সংবাদ প্রতিদিন এর প্রতিবেদনে জানা যাছে এক যুবতীর প্রেমে ‘পাগল’ হয়ে তাঁকে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ভিকি হালদারের সঙ্গী শুভঙ্কর মণ্ডল। কিন্তু রোজগার তেমন নেই। তাই বিয়ে করার আগে টাকা জোগাড় করতেই কর্পোরেট কর্তা সুবীর চাকী ও তাঁর গাড়ির চালক রবীন মণ্ডলকে খুন করে লুঠপাটের ছকে শামিল হয় সে।
যদিও গড়িয়াহাটের কাঁকুলিয়া রোডে খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ভিকি হালদারের দাবি, মায়ের প্ররোচনায় এই অপরাধ করতে রাজি হয়েছিল সে। তাই মা তার হাতে তুলে দেয় ধারালো অস্ত্র। এই ব্যাপারে নিশ্চিত হতে মা মিঠু হালদার ও ছেলে ভিকিকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরাও করা হয়। জোড়া খুনের দুই অভিযুক্ত ভিকি হালদার ও শুভঙ্কর মণ্ডলকে মুম্বই থেকে গ্রেপ্তার করেন লালবাজারের গোয়েন্দারা। মঙ্গলবার দু’জনকে আলিপুর আদালতে তোলা হয়। সরকারি আইনজীবী সৌমেন ঘোষাল আদালতে জানান, অস্ত্র ও লুঠের জিনিসের সন্ধান চলছে। ঘটনার পুনর্নির্মাণেরও প্রয়োজন রয়েছে।
কাঁকুলিয়া রোডের বাড়িটির ক্রেতা সেজে ঢোকার পর শুভঙ্কর মণ্ডল ও সঞ্জয় মণ্ডল তিনতলায় যায়। ভিকি, বাপি ও জাহির দোতলায় কথা বলছিল সুবীরবাবুর সঙ্গে। শুভঙ্কর ও সঞ্জয় রবীনবাবুকে খুনের সঙ্গে সঙ্গে ‘সিগন্যাল’ দেয়। তখন সুবীরবাবুর বুকের উপর চেপে তাঁকে খুন করে ভিকি। তাকে সাহায্য করে বাপি ও জাহির। এর মধ্যে শুভঙ্কর ও সঞ্জয় বেসিনে হাত ধুয়ে উপর থেকে নেমে আসে দোতলায়। তারাও সাহায্য করে ভিকিদের।
মুম্বইয়ে পালানোর পর প্রথমে ভিকি ও শুভঙ্কর তাদের পরিচিত ব্যক্তির কাছে গিয়ে ওঠে। কিন্তু হিরে কাটার কাজের সঙ্গে ওই ব্যক্তি সংবাদমাধ্যমে খবর পেয়ে যান যে, তারা ডাকাতি ও খুনের সঙ্গে যুক্ত। তাই তিনি তাদের আশ্রয় দেননি। তারা অন্য একজনের মাধ্যমে নির্মীয়মাণ বহুতলে নিরাপত্তারক্ষীর চাকরি জুটিয়ে নেয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।