নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: দুর্গাপুর :: শনিবার ১৫,জুন :: গত ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে দূষণের দায়ে পাকাপাকিভাবে উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায় রাজ্য সরকারের অধীনস্ত দুর্গাপুর কেমিকেলস কারখানার উৎপাদন। ব্লিচিং পাউডার, হাইড্রোক্লোরিক আসিড তৈরী হতো এই সরকারি সংস্থায়। বাজারও ভালো ছিল উৎপাদিত পণ্যর।
বর্তমানে এই কারখানাতে স্থায়ী অস্থায়ী মিলিয়ে প্রায় প্রায় পাঁচশোর মতো কর্মী রয়েছেন যারা এখন কারখানার সম্পত্তি আগালাচ্ছেন। অভিযোগ, অবসর নেওয়ার পর মিলছে না প্রভিডেন্ড ফান্ডের টাকা, কারোর এক বছর কারোর সাত মাস কারোর ছ মাস ধরে আটকে রয়েছে চাকরি জীবনের কষ্টার্জিত টাকা ।
কারখানা কর্তৃপক্ষ বলছেন সময় মতোই টাকা জমা পড়ে গেছে প্রভিডেন্ড ফান্ডের টাকা, একমাত্র দুর্গাপুরের প্রভিডেন্ড ফান্ডের কর্তারাই বলতে পারেন টাকা আটকে রয়েছে কেন? চাকরি জীবনের কষ্টের টাকা পেতে একবার দুর্গাপুর প্রভিডেন্ড ফান্ড অফিস একবার দুর্গাপুর কেমিকেলস কারখানার দুয়ারে তারা বারবার পৌঁছেচেন, কারণ সংসার চালানো টা দায় হয়ে দাঁড়িয়েছিল এদের কাছে, বন্ধ হয়ে গেছে বৃদ্ধ অবস্থার ওষুধ কেনা কেটা।
আজ উত্তেজিত অবসরপ্রাপ্ত এই সরকারি অধীনস্ত কারখানার অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিকরা দুর্গাপুরের সিটি সেন্টার প্রভিডেন্ড ফান্ড অফিসে এসে আধিকারিকদের ঘিরে ধরে তুমুল বিক্ষোভ শুরু করে দেন, রীতিমতো সংস্থার মূল দরজার সামনে বসে পড়ে বিক্ষোভে সামিল হয় দুর্গাপুর কেমিকেলস কারখানার অবসরপ্রাপ্ত প্রাক্তন শ্রমিকরা আন্দোলনে অংশ নেন অবসর নিতে চলা বাকি শ্রমিকরাও।