নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: গোপালনগর :: শুক্রবার ২৬,জানুয়ারি :: প্রথমে প্রেমের সম্পর্ক তারপর প্রেমের জলে ফাঁসিয়ে গৃহবধূকে ভিন রাজ্যে পাচার। পরে খুন করে মাটিতে পুতে দিল যুবক। অভিযুক্ত যুবকের নাম বাকিবিল্লা মন্ডল। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত যুবক ও তার বোন কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগর থানার নতিডাঙা এলকার ঘটনা।
পুলিশ গ্রেপ্তার করা সত্ত্বেও অভিযুক্ত যুবকের বাড়িতে চড়াও হল গ্রামবাসীরা। তাদের দাবি, ধৃতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। ঘটনার সূত্রপাত বেশ কয়েক বছর আগে থেকে। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই নতিডাঙ্গা এলাকার রহিমা খাতুনের বিয়ে হয় স্থানীয় সাতবাড়িয়া এলাকার যুবক সেলিম মন্ডলের । বিয়ের আট বছর পর প্রতিবেশী অভিযুক্ত যুবক বাকিবিল্লার সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে রহিমার। নিবিড় পরকীয়া সম্পর্কের টানে স্বামীর ঘর ছেড়ে অভিযুক্ত যুবকের সঙ্গে ভিন রাজ্যে পাড়ি দেয় ওই গৃহবধূ।
তারপর কেটে গিয়েছে বেশ কয়েকটা বছর। মৃত গৃহবধূ রহিমার পরিবারের অভিযোগে ঘটনার তদন্তে নেমে অভিযুক্তর যুবকের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। তদন্ত চলাকালীন মঙ্গলবার রাতে শেষ পর্যন্ত অভিযুক্ত যুবক ও তার বোন কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ধৃতদের আদালতে তুলে বিচারকের নির্দেশে দশ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নেই পুলিশ।
তদন্তের স্বার্থে বৃহস্পতিবার সকালে তারাবানুর শ্বশুর বাড়ি বাদুড়িয়া থানার ঈশ্বরী গাছাতে ধৃতদের নিয়ে পৌঁছে যায় গোপালনগর ও বাদুরিয়া থানার পুলিশ। সেখানে পুলিশের যৌথ অভিযানে শেষ পর্যন্ত অভিযুক্ত তারাবানুর শ্বশুরবাড়ির মেজের মাটি খুঁড়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে মৃত রহিমার কঙ্কালসার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশি জেরায় ধৃতরা জানায়, এই খুনের পিছনে হাত রয়েছে তাদের।
মাস কয়েক আগে ওই গৃহবধূকে খুন করে ঘরের মেঝেতে পুঁতে দেয় অভিযুক্ত বাকীবিল্লা ও তার দিদি তারা বানু। এরই মধ্যে এই খবর পৌঁছে যায় মৃত গৃহবধূ রহিমার বাড়িতে। এরপরেই এদিন সকালে অভিযুক্তর বাড়িতে চড়াও হয় গ্রামবাসীরা।
মৃতার পরিবার ও স্থানীয়দের অভিযোগ, এর আগেও অভিযুক্ত যুবক একাধিক পরকীয়ার সম্পর্কে লিপ্ত ছিল। পাশাপাশি ধৃতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন গ্রামবাসীরা । ঘটনায় সাময়িক উত্তেজনা সৃষ্টি হয় গোটা এলাকায়। খবর পেয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় যায় গোপালনগর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী।