নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: নদীয়া :: গৃহবধূর একা থাকার সুযোগ নিয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণ করার চেষ্টা, আত্ম রক্ষার্থে ধারালো অস্ত্রের আঘাত অভিযুক্ত ব্যক্তিকে। মহিলা পুলিশ কর্মী ছাড়াই টেনে হেঁচড়ে গৃহবধূকে বাড়ি থেকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ, এমনটাই অভিযোগ গৃহবধুর পরিবারের। ঘটনাটি নদীয়ার রানাঘাট থানার অন্তর্গত তারাপুরের।
জানা যায় গতকাল গভীর রাতে ওই এলাকার বাসিন্দা মামন বিশ্বাস নামে এক গৃহবধূ বাড়িতে একাই ছিলেন, পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা বিয়ে বাড়িতে গিয়েছিলেন। যদিও ওই গৃহবধূর স্বামী কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন। সেই সময় প্রতিবেশী সুবোধ বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তি গৃহবধূর ঘরের ভেতরে ঢোকে, অভিযোগ গৃহবধূকে একা থাকার সুযোগ নিয়ে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে সুবোধ বিশ্বাস।
গৃহবধূ চেঁচামেচি করলেও পরিবারে কেউ না থাকার কারণে নিজের আত্মরক্ষা নিজেকে করতে হয় গৃহবধূকে। তখনই পাশে থাকা একটি ধারালো অস্ত্র দিয়ে ওই ব্যক্তিকে আঘাত করে গৃহবধূ। ঘটনাস্থলে গুরুতর আহত হয় ব্যক্তি, ঘটনা জানাজানি হতেই স্থানীয়রা তড়িঘড়ি ওই ব্যক্তিকে নিয়ে যায় রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে। সেখানে ওই ব্যক্তির অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে কলকাতার একটি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
অভিযোগ রাতেই ওই গৃহবধূর বাড়িতে হানা দেয় রানাঘাট থানার পুলিশ, এরপর মহিলা পুলিশ কর্মী ছাড়াই জোরপূর্বক ওই গৃহবধূকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ, পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা পুলিশকে বাধা দিতে গেলে পুলিশের হুমকির মুখে পড়তে হয় পরিবারের সদস্যদের। গৃহবধূর পরিবারের দাবি এই ঘৃণ্য ঘটনা যে করার চেষ্টা করল তার বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ পুলিশ না নিয়ে আমাদের উপর কেন পুলিশের জুলুমবাজি চলছে।