নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: বাঁকুড়া :: ‘গোরু পাচার কাণ্ডে’ বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল যখন সি.বি.আই-র হাতে গ্রেফতারীর পর জেল হেফাজতে রয়েছেন, ঠিক তখনই ঐ গোরু চুরি ও পাচারের ঘটনায় ছ’জনকে গ্রেফতার করলো বাঁকুড়া জেলা পুলিশ। মঙ্গলবার পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা থেকে তাদের গ্রেফতার করে। বুধবার ধৃতদের আদালতে তোলা হবে।
পুলিশ সূত্রে খবর, বেশ কিছুদিন ধরেই বাঁকুড়া সদর, কোতুলপুর, ছাতনা সহ বেশ কয়েকটি থানা এলাকায় গোরু চুরির ঘটনা বেড়েই চলছিল। এই অবস্থায় বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনা করে ডি.এস.পি.ডি.এন.টি-র নেতৃত্বে ঐ তিন থানার আই.সি, ও.সি ও অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকদের নিয়ে ‘সিট’ গঠন করা হয়।
‘সিটে’র সদস্যরা তদন্তে নামার ১০ দিনের মধ্যে আধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে অভিযুক্তদের গতিবিধির উপর নজর রাখা শুরু করে। এর মাঝেই পুলিশের কাছে খবর আসে দক্ষিণ ২৪ পরগণার বিষ্ণুপুর থানা এলাকার একদল দুস্কৃতি মূলতঃ রাত ১২ টার পর বাঁকুড়া, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, হুগলির প্রত্যন্ত গ্রাম গুলিতে গোরু চুরি করে সকালের মধ্যে ফের নিজেদের ডেরায় ফিরে যায়।
আবার সেই চুরি করা গোরু গুলিকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন জায়গাতে বিক্রি করে। এই অবস্থায় ‘সিটে’র তদন্তকারী অফিসাররা ওৎ পেতে থাকেন। অবশেষে মঙ্গলবার রাতে পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা থানার বালিচকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসিন্দা ঐ ৬ দূস্কৃতিকে হাতে নাতে ধরে ফেলেন। ধৃতদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করে এদিন বাঁকুড়া জেলা আদালতে তোলা হচ্ছে বলেও পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে