সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ :: গোসাবা :: মঙ্গলবার ২৮,নভেম্বর :: আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের ফলে আক্রান্ত হচ্ছে তৃণমূল।রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা। তাদের প্রশ্ন, মাথার ওপর তৃণমূলের হাত থাকলে কি পুলিশকে আর ভয় করছে না দুষ্কৃতীরা ? তাই কি তৃণমূলের হাতেই খুন হতে হচ্ছে একের পর এক তৃণমূল নেতাকে ?
দুষ্কৃতীরা কি জানে কাউকে খুশি করতে পারলে আর কোনও ভয় নেই ?জয়নগর, আমডাঙার পর এবার গোসাবা।পথশ্রীর রাস্তা তৈরি করাকে কেন্দ্র করে অশান্তিতে উত্তেজনা ছড়াল দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবার রাধানগর এলাকায়। নিহত তৃণমূল নেতার নাম মুসাকলি মোল্লা।
এই ঘটনা তদন্ত নেমে ইতিমধ্যেই সুন্দরবন উপকূল থানার পুলিশ ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে। নিহত তৃণমূল পরিবারের দাবি তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে খুন হতে হল মুসাকলি মোল্লাকে। নিহত তৃণমূল নেতার স্ত্রী তানজিলা মোল্লা জানান,আমার স্বামী মাদার তৃণমূল করতেন। আক্রমণকারীরা যুব তৃণমূলের সদস্য। রাস্তা তৈরিতে কম সামগ্রী দেওয়ায় প্রতিবাদ করেছিলেন স্বামী। তাই তারা মাথায় মুগুর মেরে দেহ জলে ফেলে দিয়েছে । এই ঘটনার সঙ্গে বাকিবুর আর তাঁর দলবল জড়িত আছে।
বাকিবুর গোসাবার বিধায়ক সুব্রত মন্ডল ঘনিষ্ঠ। নিহত তৃণমূল নেতার ছেলে সেলিম মোল্লার দাবি, আমার বাবা তৃণমূলের মাদার দল করতো আর যারা আমার বাবাকে মেরেছে, তারা যুব তৃণমূল করে। আমার বাবা দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের উপাধ্যক্ষ অনিমেষ মন্ডল ঘনিষ্ঠ।
আর যারা আমার বাবাকে মেরেছে তারা গোসাবার বিধায়ক সুব্রত মন্ডল ঘনিষ্ঠ। তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরেই আমার বাবাকে খুন হতে হলো। এই খুনের সঙ্গে জড়িত যারা রয়েছে তাদের শাস্তি চাই আমরা।