কুমার মাধব :: সংবাদ প্রবাহ :: মালদহ :: ৩০শে মার্চ :: ঘাসফুল শিবিরে ভাঙন।পঞ্চায়েত ভোটের মুখে তৃনমূলের অত্যাচারের আতঙ্কে দল ছাড়লেন ৫০ টি পরিবার।এতে অস্বস্তিতে পড়েছে শাসকদল।
এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃনমূলের হার নিশ্চিত জেনেই শাসকদলের নেতা কর্মীরা পঞ্চায়েতের ফাইল লোপাট থেকে শুরু করে একেরপর এক অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটিয়ে চলেছে।এতেই ক্ষুব্ধ হয়ে সাধারণ ভোটার থেকে নেতা কর্মীরা দল ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন বলে দাবি সিপিআইএম এর।
জানা যায়,বুধবার দুপুর একটা নাগাদ ছিল হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নং ব্লকের সুলতান নগর গ্রাম পঞ্চায়েতের কুশল গ্ৰামে সিপিআইএম এর এক কর্মী সভা।এদিনের এই কর্মী সভায় পঞ্চায়েত সদস্য আসমাউল হক ও বাম নেতা সেখ খলিলের হাত ধরে ৫০ টি পরিবার তৃনমূল ছেড়ে সিপিআইএম যোগদান করেন বলে দাবি।
উল্লেখ্য,সোমবার গভীর রাতে হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নং ব্লকের সুলতান নগর গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস থেকে ১০০ দিন প্রকল্পের ফাইল লোপাট করতে গিয়ে তিন সরকারি কর্মচারীকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশন এর দুই কর্মী ও কংগ্রেসের এক পঞ্চায়েত সদস্য।
এরপরে আড়ালে লুকিয়ে থাকা ৫০ থেকে ৬০ জন তৃনমূল কর্মী পঞ্চায়েতে ছুটে এসে ওই দুই গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশন কর্মী ও এক পঞ্চায়েত সদস্যকে বেধড়ক ভাবে মারধর করার পাশাপাশি পঞ্চায়েত ভাংচুর করে বলে অভিযোগ।মহম্মদ ইরফান নামে এক গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশন এর কর্মীর মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
বর্তমানে সে মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।এতেই শংকিত হয়ে সুলতান নগর গ্রাম পঞ্চায়েতের কুশল গ্ৰামের প্রায় ৫০ টি পরিবার তৃনমূল ছেড়ে সিপিআইএম এ যোগদান করেন বলে জানা গেছে।