সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ :: সাগর :: বুধবার ২৩,অক্টোবর :: ঘূর্ণিঝড় দানার আতঙ্কে ইতিমধ্যে আতঙ্কিত সুন্দরবনবাসী। মঙ্গলবার সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রীর তরফ থেকে কাকদ্বীপের এসডিও অফিসে দফায় দফায় উচ্চপর্যায়ের বৈঠক। উপকূল তীরবর্তী এলাকার মানুষজনদের নিরাপদে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার ইতিমধ্যে ব্যবস্থা শুরু করে দিয়েছে দিয়েছে ব্লক প্রশাসন।
গঙ্গাসাগরের ঘূর্ণিঝড়ের আতঙ্কে বন্ধ রাখার নির্দেশ সমস্ত স্কুল। বুধবার সকাল থেকে এলাকা পরিদর্শন করছেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা ও সাগরের বিডিও। ইতিমধ্যেই গঙ্গাসাগর সহ দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূল তীরবর্তী এলাকায় বিভিন্ন ভাঙন কবলিত এলাকায় মোতায়ন করা হয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে। জেলার মোট ৭৬ টি ভাঙন কবলিত এলাকা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
সুন্দরবনের গঙ্গাসাগর থেকে গোসাবা পর্যন্ত মাটির নদী বাঁধ গুলি যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মেরামত করার কাজ শুরু করে দিয়েছে রাজ্যের সেচ দপ্তর। রাজ্যের সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা জানান, দুর্যোগ মোকাবিলায় ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে যুদ্ধকালীন তৎপরতা প্রস্তুতি সেরা নেওয়া হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় সমস্ত রকম সরকারি আধিকারিকদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
প্রস্তুত রাখা হয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে। ইতিমধ্যে ত্রাণ শিবির গুলি খুলে রাখা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ঘোড়ামারা সহ নামখানার বেশ কিছু নিচু এলাকা থেকে মানুষজনদের নিরাপদ আশ্রয় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া কাজ শুরু করা হয়েছে। গঙ্গাসাগর থেকে ঘূর্ণিঝড় দানা বর্তমান অবস্থান করছে ৬২০ কিলোমিটার দূরে।