আনন্দ মুখোপাধ্যায় :: সংবাদ প্রবাহ :: চন্দননগর :: চন্দননগর পৌরনিগমের বিন্দুবাসিনী পাড়া গণ বিদ্যালয় ৬ নম্বর ওয়ার্ডে ৫১,৫২ নং বুথে সকাল থেকে বেলা পর্যন্ত দীর্ঘ লাইন ভোটারদের মহিলা পুরুষ সকলকেই দেখা গেল লাইনে । এই চিত্র কিন্তু এবার চন্দননগরের পুর নির্বাচনে বিরল নয় ।
মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বিভন্ন প্রকল্প যেমন দুয়ারে সরকার, কন্যাশ্রী ,স্বাস্থ্য সাথী,লক্ষী ভান্ডার প্রমুখ প্রকল্পে গুলি কিন্তু বিশেষ করে মহিলাদের আকৃষ্ট করেছে । ফলে এই ভোটে এবার মহিলাদের আকর্ষণ করেছে বিশেষ ভাবে ।
যদি চন্দননগরের ভোটের সংখ্যাতত্বের দিকে তাকাই তাহলে এক কথায় বলা যাবে এই পুরনিগম থেকে তৃনমূল কংগ্রেস এর সম্ভাবনা প্রবল। চন্দননগরের মোট ভোটার ১ লক্ষ ৪৪ হাজার ৮৩৯ জন । বিস্ময়্কর ভাবে এই পৌর নিগমে মহিলা ভোটারের সংখ্যা পুরুষদের থেকে বেশি । অসুন পরিসংখ্যানটা দেখে নিই ।
এখানে মোট ভোটারের মধ্যে পুরুষ ভোটার যেখানে ৭১ হাজার ২২৪ জন সেখানে মহিলা ভোটারের সংখ্যা ৭৩ হাজার ৬০৭ জন । অর্থাত পুরুষদের তুলনায় মহিলা ভোটার ২৩৮৩ জন বেশি । এছাড়াও তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার আছেন ৮ জন ।
ফলে বলা যায় যে হয়ত এই মহিলা ভোটাররা বাকি পুরুষ ভোটারদেরও বেশ কিছুটা প্রভাবিত করতে পারবেন । এই পরিসংখানে কিন্তু খুশি প্রসাশকরা । এটিকে কিন্তু প্রসাশন তাদের ভোটার তালিকায় নাম তোলার বিশেষ অভিযানএরই ফল বলে ভাবছেন ।অবশ্য প্রসাশন এবং দল দুইপক্ষই এটিকে তাদের প্রচেষ্টার সাফল্য হিসাবেই দেখতে চান ।
চন্দননগর কিন্তু সংস্কৃতি সম্পন্ন মানুষের বাস, তাই এখানে বড় একটা অশান্তির খবর পাওয়া যায়না ।এবারেও এখানে মোট পুরো ওয়ার্ড ৩৩টি তার মধ্যে ভোট হচ্ছে ৩২ টি তে । একজন বিজেপি প্রার্থীর অকাল মৃত্যুতে সেই ওয়ার্ডের নির্বাচন বন্ধ আছে ।
এবার অতন্দ্র প্রহরীর মত চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট ভোটারদের জন্য নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছেন ।এবারেও প্রতিটি বুথে সশস্ত্র পুলিশের ব্যবস্থা করেছিল ।দুদিন আগে থেকেই উত্তর ২৪ পরগনার থেকে দুষ্কৃতিদের অনুপ্রবেশ রুখতে গঙ্গাবক্ষেও লঞ্চের কড়া নজরদারি রয়েছে । রাস্তায় দুদিন আগে থেকেই নাকা চেকিং শুরু করে দিয়েছে । কমিশনারেট সূত্রের খবর চন্দননগরের ডিসি বিদিত রাজ পুরো বিষয়টির নেতৃত্ব দিচ্ছেন ।
তাঁর অধীনে ৯ জন ইন্সপেক্টর,এ এস আই এবং এস আই ১১৪ জন,এবং ৫৪৬ জন মহিলা ও পুরুষ হোমগার্ড মাঠে নেমেছেন । এছাড়াও আছেন পুলিশ কমিশনার অর্ণব ঘোষ এবং ডিসি,এসি পদমর্যাদার পদস্থ অফিসাররা ।
সকাল থেকেই সেভাবে কোনো অশান্তির খবর আসেনি । ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী শুভজিত সাউ দেখাযায় সকাল থেকেই রক্ষিত স্কুলের বুথে দাঁড়িয়ে আছেন । সেখানে মক পোলিং হবার পর ভোট প্রক্রিয়া চালু হতেই দেখা যায় ইভিএম মেশিন খারাপ । প্রথম ভোটার ই ছিলেন একজন মহিলা ভোটার স্থানীয় স্কুল শিক্ষিকা ইন্দ্রানী মুখার্জি শুক্লা । তিনি মেশিন চলছেনা দেখে কিছুক্ষণ পরে স্থির করেন ভোট না দিয়েই ফিরবেন ঘরে ।
কিন্তু তখনই দেখা যায় তৃনমূল প্রার্থী শুভজিত সাউ একজন সরকারী ইঞ্জিনিয়ারকে নিয়ে আসেন এবং মেশিন অচিরেই ঠিক হয়ে যায় ।অসমর্থিত সূত্রের অনুসারে বিকাল আড়াইটে পর্যন্ত ভোট পড়েছে প্রায় ৬৫ শতাংশ ।১৩ নম্বর ওয়ার্ডটি একটি নজর কাড়া কেন্দ্র । এখানের পরিস্থিতির দিকে তাকিয়ে অনেক রাজনৈতিক দলই । প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য যে এই কেন্দ্রে কিন্তু সিপিএম,কংগ্রেস এবং বিজেপি সহ চতুর্মুখী লড়াই হচ্ছে ।