আনন্দ মুখোপাধ্যায় :: সংবাদ প্রবাহ :: চন্দন নগর :: বৃহস্পতিবার ১০,আগস্ট :: হাসপাতালের জরুরী বিভাগের ভিতরে স্ট্রেচারে শোয়ানো মৃতদেহ। মাথার ক্ষত থেকে রক্ত সহ ঘিলুর অংশ পড়েছে মেঝেতে। তা চেটে চেটে খাচ্ছে কুকুর। এই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই চন্দননগর মহকুমা হাসপাতাল নিয়ে শোরগোল পড়েছে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ভিডিওর সত্যতা স্বীকার করেই জানাচ্ছে, অত্যন্ত দুঃখজনক ব্যাপার। সে সময় বিষয়টি নিরাপত্তা কর্মীদের নজরে এল না কেন, তা দেখা হবে। পাশাপাশি এ ধরণের ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়াতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রমা ভুঁইয়া সাংবাদিকদের বলেন, “সঠিক কি হয়েছে, খোঁজ নিয়ে দেখা হবে।”
কুকুর তাড়ানোর জন্য আগেই পুরনিগমকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি। মেয়র রাম চক্রবর্তী বলেন, “কুকুর তাড়ানোর কোনও পরিকাঠামো আমাদের নেই। তা না জেনেই চিঠি দিলে কি করা যাবে । আসলে সেখানে নিরাপত্তা কর্মী থাকলে বিষয়টি ঘটত না।”
হাসপাতাল সূত্রে খবর, মঙ্গলবার চন্দননগর বড়বাজারে একটি আবাসনের নির্মীয়মাণ লিফটে কাজ করার সময় নীচে পড়ে যান এক নির্মাণ শ্রমিক। তাঁর মাথায় গুরুতর চোট লাগে। তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এরপর থেকে জরুরী বিভাগের ভিতর পর্দা লাগানো একটি ঘরে মৃতদেহটি স্ট্রেচারে শোয়ানো ছিল। ক্ষত থেকে রক্ত সহ মাথার কিছু অংশ নীচে পড়েছিল। ঘণ্টা দু’য়েক পর সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ তোলা ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, প্রথমে একটি কালো কুকুর তা চেটে চেটে খাচ্ছে। পরে গলা সাদা, দেহ কালো আর একটি কুকুর স্ট্রেচারের নীচে বসে রক্ত চাটছে।
জরুরী বিভাগে ঢুকতেই ডান হাতে রয়েছে সেই ঘর। ঘটনার সময় পর্দার আড়াল থেকে যা সুস্পস্ট। কিন্তু জরুরী বিভাগের কারোর বিষয়টি নজরে আসেনি বলে দাবি। বিষয়টি জানাজানি হতেই যথেষ্ট শোরগোল পড়ে হাসপাতাল চত্বরে। এখন প্রশ্ন উঠছে যে হাসপাতালে আদৌ কবে থেকে সঠিক নিরাপত্তা মিলবে