চরম অব্যবস্থার চিত্র রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।

নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: রায়গঞ্জ :: মঙ্গলবার ১৪,জানুয়ারি :: চরম অব্যবস্থার চিত্র রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সম্প্রতি এক পা ভাঙা রোগীকে হুইল চেয়ার না পাওয়ার কারণে স্ত্রীর কাঁধে চড়ে সিটি স্ক্যান করাতে যেতে হয়েছে।রায়গঞ্জের রায়পুরের বাসিন্দা পরিতোষ বর্মণের পা ৪-৫ দিন আগে কাজ করতে গিয়ে ভেঙে যায়।

হাসপাতালে এসে তিনি হুইল চেয়ার খুঁজে পাননি। পরিতোষবাবু বলেন, “হাসপাতালে এসে দেখলাম একটাও হুইল চেয়ার নেই। পেলামই না। তারপর বাধ্য হয়ে আমার স্ত্রী কাঁধে তুলে সিটি স্ক্যান করাতে নিয়ে যান আমায়। এত বড় একটা হাসপাতাল, একটা হুইল চেয়ার নেই।”

রোগীর স্ত্রী সলিতা বর্মণ জানান, “আমরা পড়াশোনা জানি না। কাকে কী বলব? প্রথমে কর্মীরা বলল কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকুন, চেয়ার আনছি। পরে এসে বলল, চেয়ার জোগাড় করা যাচ্ছে না। তারপর আমি বাধ্য হয়ে তাকে কাঁধে তুলে নিয়ে গেলাম।”

এটা শুধু রায়গঞ্জের হাসপাতালেই নয়, রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উদাসীনতার আরও বড় ছবি সামনে এসেছে। স্যালাইন কাণ্ডের পর মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসকরা রোগীদের জন্য বাইরে থেকে ওষুধ বা স্যালাইন আনতে বলছেন, কারণ হাসপাতালের স্টকে ওষুধ বা স্যালাইন নেই। রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার এই দুরবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে, আর সাধারণ মানুষকে চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one × five =