সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ :: ভাঙড় :: মঙ্গলবার ২০,আগস্ট :: চাকরির নামে প্রতারণা ভাঙড়ে । মাত্র ৬ মাসের ট্রেনিং। খরচ ১৫ থেকে ২৫ হাজার টাকা। আর সেই ট্রেনিং শেষে মিলবে সরকারি-বেসরকারি দপ্তরে চাকরি। যেখানে মাহিনা পাওয়া যাবে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। এভাবেই ভাঙড় থানার ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে ভাঙড় বাজারে বসে চাকরির নামে প্রতারনা চালাচ্ছিল একটি চক্র।
অবশেষে সেই প্রতারণা চক্রের বিরুদ্ধে ভাঙড় থানায় অভিযোগ জানালেন কয়েকজন প্রতারিত বেকার যুবক যুবতী। তাঁদের দাবী, মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে মোটা টাকা হাতিয়েছেন ভাঙড়ের বাসিন্দা প্রবীর মণ্ডল। অবিলম্বে ওই যুবককে গ্রেপ্তার করতে হবে এবং টাকা ফেরত দিতে হবে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ভাঙড় ১ নম্বর ব্লকের জাগুলগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের কর্মী প্রবীর মণ্ডল তাঁর স্ত্রী কঙ্কনা মাঝি, শ্যালক সঞ্জয় মাঝি ও সন্দীপন সাধুখাঁ সহ বেশ কয়েকজন মিলে স্মার্ট ভ্যালুর অফিস খুলে বসে । ভাঙড় মহাবিদ্যালয়ের উল্টোদিকে কর্মতীর্থ বিল্ডিং এর তিনতলায়।
এমনিতেই জাগুলগাছি পঞ্চায়েতের কর্মী প্রবীর মণ্ডলের বিরুদ্ধে সরকারি আবাস যোজনা প্রকল্পের ঘরের টাকা সহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। ২০২১ সালে ভাঙড় থানার ঘটকপুকুরে প্রথমে স্মার্ট ভ্যালুর অফিস খোলে। সেখানে বেকার যুবক-যুবতীদের চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে।
সেই সময়ে ভাঙড় থানা (তৎকালীন রাজ্য পুলিশের অধীনস্থ) ওই সংস্থার অফিস বন্ধ করে দেয়। এর পাশাপাশি পুলিশ কয়েকজন প্রতারিত যুবক-যুবতীকে ওই সংস্থার থেকে টাকা ফেরতের ব্যবস্থা করে দেয়। কিন্তু পরবর্তী সময়ে ফের ওই সংস্থা ভাঙড় কলেজের উল্টোদিকে কর্মতীর্থ বিল্ডিং এ নতুন করে অফিস খুলে বসে।
যখনই তারা চাকরির কথা বলতে যায় তখন তাদের বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র দিয়ে বিক্রি করার কথা বলা হয় এবং নতুন নতুন ছেলে মেয়েদের সংস্থায় ভর্তি করানোর কথা বলা হয়। বিনিময়ে তাদের কমিশন দেওয়ার কথা বলা হয়। দুই-তিন বছর ধরে ওই সমস্ত যুবক-যুবতীরা চাকরি ও কম্পিউটার প্রশিক্ষণ না পেয়ে এবং টাকা ফেরত চেয়েও না পেয়ে দিন কয়েক আগে ভাঙড় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।
এদিন প্রতারিত যুবক-যুবতীরা টাকা ফেরতের দাবিতে ভাঙড় থানার সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। এই ঘটনার পর ভাঙড় থানার পুলিশ ওই অফিসে তদন্ত করতে যায়।