চাকরি হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লো দেবশ্রী-অঙ্কিতারা

সুদেষ্ণা মন্ডল  :: সংবাদ প্রবাহ :: বারুইপুর :: শুক্রবার ৪,এপ্রিল :: শীর্ষ আদালত রায় দিলেও সরকার বিজ্ঞপ্তি জারি না করা পর্যন্ত তারা স্কুলে আসবেন। সরকারের পদক্ষেপের উপরেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নির্ভর করবে বলে জানালেন দেবশ্রী সাহা। তিনি উত্তর ২৪ পরগনার সোদপুরের বাসিন্দা। বারুইপুরের সীতাকুণ্ড বিদ্যায়তন স্কুলের বায়োলজির শিক্ষিকা ।

রায় নিয়ে বলার মত কিছু মানসিকতা নেই। তিনি জানান পরীক্ষা দিয়ে প্রথম এই চাকরিটাই পাই। আমি এবং আমার স্বামী দুজনেই একই প্যানেলে চাকরি পাই আমাদের দুজনেরই চাকরি চলে গিয়েছে।

রাজ্য সরকার এখন কি সিদ্ধান্ত নেয় সে দিকেই তাকিয়ে রয়েছি। বাড়িতে সন্তান বাবা-মা শ্বশুর-শাশুড়ি সকলে রয়েছেন। প্রত্যেকেই আমাদের উপর নির্ভরশীল।

                                                          চিত্র পরিচিতি :: শিক্ষিকা অঙ্কিতা ধর

আদালত রায় দিলেও সরকার কি সিদ্ধান্ত নেয় তার উপরেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব। যোগ্য অযোগ্যদের বাছাই করা গেলনা । তার দায় যোগ্যরা কেন নেবে। আমরা তো কোন দোষ করিনি। এমনটাই জানান অংকের শিক্ষিকা অঙ্কিতা ধর। তার একটি দেড় বছরের সন্তানও রয়েছে।

বারুইপুরের সীতাকুন্ডু বিদ্যায়তন স্কুলের এই বিদ্যালয়ের একসাথে ছয় জনের চাকরি গিয়েছে। তার মধ্যে তিনজন শিক্ষক ও তিনজন শিক্ষিকা। চাকরি হারালেন মথুরাপুর কৃষ্ণচন্দ্রপুর হাইস্কুলের আট জন শিক্ষক শিক্ষিকা।

এদের মধ্যে চারজন শিক্ষক ও চারজন শিক্ষিকা রয়েছে। মথুরাপুর কৃষ্ণচন্দ্র পুর হাই স্কুলের প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার জন ছাত্রছাত্রী। মথুরাপুর কৃষ্ণচন্দ্র পুর হাই স্কুলের শূন্য পদ ছিল ১৭ টি এবং এই আটজন শিক্ষক শিক্ষিকার নতুন করে চাকরি বাতিল হওয়ার কারণে মথুরাপুর কৃষ্ণচন্দ্র পুর হাই স্কুলের ২৩ টি শূন্য পদ তৈরি হয়েছে।

এ বিষয়ে মথুরাপুর কৃষ্ণচন্দ্র পুর হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক চন্দন কুমার মাইতি বলেন, আমাদের স্কুলে আট জন শিক্ষক-শিক্ষিকার মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর চাকরি বাতিল হয়ে যায়।

সুন্দরবনের প্রান্তিক এলাকায় এই স্কুল অত্যন্ত সুনামধন্য । এখানে বহু ছাত্র-ছাত্রীরা পড়াশোনা করে। আমাদের স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীর অনুপাতে শিক্ষক শিক্ষিকা অনুপাত অনেকটাই কম। আমাদের স্কুলের ১৭ টি শিক্ষক পদ এখনো শূন্য রয়েছে, নতুন করে আটটি শূন্য পথ তৈরি হয়েছে।

শিক্ষক নিয়োগের প্যানেল বাতিল হয়ে যাওয়ার কারণে শুধু আমাদের স্কুল নয় সুন্দরবনের বিভিন্ন প্রান্তিক এলাকার স্কুলগুলিতেও পঠন-পাঠনের ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রভাব পড়বে। রাজ্য সরকারের উচিত অবিলম্বে শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি মাধ্যমে রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলগুলিতে শিক্ষক নিয়োগ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

20 − 3 =