নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: বাঁকুড়া :: বৃহস্পতিবার ২৭,জুন :: স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে বাঁকুড়ার সিমলাপাল থানার ধবনী গ্রামের বাসিন্দা পীযূষ সিনহা মহাপাত্রর সঙ্গে দীর্ঘদিনের পরিচয় পার্শ্ববর্তী কল্লাচ্যা গ্রামের বাসিন্দা পার্থ সিংহ মহাপাত্রর। তাঁর সূত্র ধরেই পীযূষের সঙ্গে আলাপ হয় পার্শ্বলা গ্রামের সৌমেন সিংহ মহাপাত্রর।
অভিযোগ মাস কয়েক আগে ওই দুই যুবক পীযূষকে জামশেদপুরে একটি নামী সংস্থায় স্থায়ী চাকরীর প্রস্তাব দেয়। পীযূষকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় ওই চাকরীর জন্য প্রয়োজনীয় ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিপ্লোমা ও অভিজ্ঞতার সংশাপত্রও তৈরী করে দেওয়া হবে। বিনিময়ে প্রথমে ৬০ হাজার টাকা দাবী করে ওই দুই যুবক। পীযূষের দাবী প্রথমে ৬০ হাজার টাকায় কথা হলেও ধাপে ধাপে প্রায় ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা নেয় পার্থ ও সৌমেন।
কখনো নগদে আবার কখনো বিভিন্ন পে অ্যাপের সাহায্যে পীযূষ ওই টাকা দেন ওই দুজনকে। এরপর পীযূষকে জামশেদপুরে অপর একটি সংস্থায় কাজ দেওয়া হয়। কিন্তু কাজে যোগ দেওয়ার দশ দিনের মাথায় সংস্থার তরফে তাঁকে কাজ থেকে বের করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এরপরই পীযূষ জানতে পারেন তাঁকে দেওয়া ইঞ্জিনিয়ারিং এর ডিপ্লোমা ও অভিজ্ঞতার সংশাপত্রও জাল।
পীযূষ বুঝতে পারেন তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন। পার্থ ও তার সহযোগীর কাছে দেওয়া টাকা ফেরত চাইলে তাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এরপরই বাঁকুড়ার সিমলাপাল থানার দ্বারস্থ হন পীযূষ। নড়েচড়ে বসে পুলিশ। এরপরই পীযূষের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় সৌমেন সিংহ মহাপাত্রকে।