চার বছরের এক শিশুকে অপহরণ করে একটি ট্রলি ব্যাগে ভরে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠল এক টিউশান মাস্টারের বিরুদ্ধে।

নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: নন্দীগ্রাম :: রবিবার ১৬,মার্চ ::  চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে নন্দীগ্রামের শিমুলকুন্ডু গ্রামে। এই ঘটনার খবর পেয়ে এলাকা তোলপাড় হতেই বাচ্চাটিকে রাস্তার পাশে ফেলে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা |
পরে পুলিশ তদন্তে নেমে শিশুটিকে উদ্ধার করে, সেই সঙ্গে এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে টিউশান শিক্ষক সঞ্জয় পতি সহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে।
সূত্রের খবর নন্দীগ্রামের গড়চক্রবেড়িয়ার কাঁটাখালি এলাকার বাসিন্দা সঞ্জয় পতি পেশায় টিউশানি শিক্ষক। শিমূলকুন্ডু গ্রামে এক ব্যক্তির বাড়িতে  ৯ বছরের এক শিশুকে পড়াতে যেত। পেশার তাগিদে ওই শিশুর বাবা ও মা খুব ভোরে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পাউরুটি বিক্রী করতে চলে যায়।
সেই সুযোগে  ওই বাড়ির দরজার চাবি খুলে তাদেরই ৪ বছরের আর একটি শিশুর মুখে কাপড় গুঁজে অপহরন করে ট্রলি ব্যাগে ভরে নিয়ে চলে যায়। যাওয়ার আগে ৯ বছরের মেয়েটির হাত পা দড়ি দিয়ে বেঁধে রেখে যায়। তবে এর পরেই ৯ বছরের শিশুটি চিৎকার করে সবাইকে এই ঘটনার বিষয়ে জানালে চারিদিকে আলোড়ন পড়ে যায়।
এর জেরেই অভিযুক্তরা বাচ্চা সহ ট্রলি ব্যাগটি নন্দীগ্রাম ২ ব্লকের ঘোলপুকুরিয়ার কাছে ফেলে পালিয়ে যায়। পরে ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশে বাচ্চাটিকে উদ্ধার করার পর অভিযুক্ত শিক্ষকের সন্ধানে তল্লাশি শুরু করে। দীর্ঘ তল্লাশির পর ওই টিউশান শিক্ষককে পাকড়াও করে পুলিশ। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
অভিযুক্ত টিউশান শিক্ষক সঞ্জয় পতির দাবী, “আমি ওই বাচ্চার বাবাকে ১০ হাজার টাকা ধার দিয়েছিলাম। সেই টাকা কিছুতেই উদ্ধার হচ্ছিল না। তাই চাপ দিতেই এক বন্ধুর পরামর্শ মতো ওই শিশুর বাড়িতে গিয়ে তাকে ট্রলি ব্যাগে ভরে নিয়ে পালাই”।
অভিযুক্তের দাবী, ” আমাদের পরিকল্পনা ছিল বাচ্চাকে বাড়িতে আটকে রেখে টাকা আদায় করে নেব। এছাড়া আর কোনও উদ্দেশ্য আমাদের ছিল না।” নন্দীগ্রাম থানা সূত্রে জানানো হয়েছে, বাচ্চাকে অপহরণের অভিযোগে ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কি কারণে এই অপহরণ তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 × two =