আনন্দ মুখোপাধ্যায় :: সংবাদ প্রবাহ :: ব্যুরো নিউজ :: শুক্রবার ১০,অক্টোবর :: আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক বক্তব্য ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তাঁর অতি সক্রিয়তা নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, মার্কিন ইতিহাসে চারজন প্রেসিডেন্টের নোবেল শান্তি পুরস্কার প্রাপ্তি যেন ট্রাম্পকে আরও মরিয়া করে তুলেছে।
মার্কিন ইতিহাসে নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছেন থিওডর রুজভেল্ট (১৯০৬), উড্রো উইলসন (১৯১৯), জিমি কার্টার (২০০২) ও বারাক ওবামা (২০০৯)। ট্রাম্প ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়েই বহুবার দাবি করেছিলেন, তাঁর মধ্যপ্রাচ্য শান্তিচুক্তি ও উত্তর কোরিয়ার কূটনৈতিক প্রচেষ্টা নোবেল পাওয়ার যোগ্য।
শান্তির জন্য নোবেল পেয়েছিলেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা
তিনি নিজেই একাধিক জনসভায় বলেছিলেন, “আমার মতো শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা কেউ করেনি।” তবে নোবেল কমিটি মনোনয়ন পেলেও পুরস্কার দেয়নি ট্রাম্পকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সেখান থেকেই তাঁর মধ্যে একধরনের ক্ষোভ ও আত্মপ্রমাণের তাড়না জন্ম নেয়।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক রিচার্ড হাওয়ার্ড বলেন, “ট্রাম্পের অনেক আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ যুক্তিহীন মনে হলেও, তাঁর ভেতরে নোবেল পাওয়ার আকাঙ্ক্ষাই একধরনের ব্যক্তিগত প্রেরণা হিসেবে কাজ করছে।”
২০২৪ সালের নির্বাচনে ফের ক্ষমতায় ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ট্রাম্প। তাঁর ঘনিষ্ঠ মহল জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজের ভাবমূর্তি “শান্তি প্রতিষ্ঠাতা” হিসেবে তুলে ধরতে চাইছেন তিনি।
এর মধ্যেই মধ্যপ্রাচ্যে হঠাৎ সক্রিয়তা, ইউরোপীয় মিত্রদের সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধি, এমনকি এশিয়া অঞ্চলে রাজনৈতিক বক্তব্য—সব কিছুই নোবেলকে ঘিরে তাঁর একান্ত ব্যক্তিগত ইচ্ছারই বহিঃপ্রকাশ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
তবে সমালোচকরা একে দেখছেন অন্যভাবে। তাঁদের মতে, ট্রাম্পের রাজনীতি বিভাজন ও আগ্রাসনের ওপর দাঁড়ানো, তাই শান্তির প্রতীক হিসেবে তাঁকে দেখা নোবেল কমিটির পক্ষে কখনও সম্ভব নয়। তাঁদের ভাষায়, “শান্তির জন্য নয়, রাজনীতির জন্যই ট্রাম্পের এই মরিয়া প্রয়াস।”