চুঁচুড়ার কালিক্ষেত্রগুলির মধ্যে অন্যতম প্রাচীন সিদ্ধেশ্বরী মাতার মন্দির

নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: চুঁচুড়া :: চুঁচুড়ার কালিক্ষেত্রগুলির মধ্যে অন্যতম প্রাচীন সিদ্ধেশ্বরী মাতার মন্দির। ষোড়শ শতকের প্রথমার্ধে চুঁচুড়ায় ষন্ডেশ্বর বাবার আবির্ভাব ঘটে দিগম্বর হালদার, নীলমনি তিওরের মতো ধীবরদের হাত ধরে। ষন্ডেশ্বর জিউ মন্দির তৈরীর বছর পঞ্চাশেক পর মৃত্যু হয় দিগম্বরের।

ষন্ডেশ্বর মন্দির মুখোমুখি দিগম্বরের দেহ দাহ করা হয়। ঠিক সেখানেই দিগম্বরের আত্মার শান্তি কামনায় মা কালির ঘট প্রতিষ্ঠা করে পুজো শুরু হয়। কথিত আছে সেসময় মা কালির মৃন্ময়ী মূর্তির প্রচলন ঘটেনি। এরপর দিগম্বর হালদারের পঞ্চম পুরুষ মৃত্যুঞ্জয় হালদার এই স্থানে একটি কালি মন্দির তৈরি করেন। সিদ্ধেশ্বরী মাতার মন্দির হলেও তখনও এখানে ঘট পুজোই হতো। ১৯৬০সালে ষন্ডেশ্বরতলার বাসিন্দারা সিদ্ধেশ্বরী মাতার মন্দিরের নবরূপ দান করেন।

নতুন মন্দিরে প্রথমবার সিদ্ধেশ্বরী মাতার মৃন্ময়ী মূর্তি পুজিত হয়। প্রায় ৪৫০বছরের ইতিহাসকে সাক্ষী করে আজও ষন্ডেশ্বরবাবার মুখোমুখি অবস্থান করে চলেছেন সিদ্ধেশ্বরী মাতা। পুরীর জগন্নাথ দেবের ন্যায় প্রতি ১২বছর অন্তর মাকে নব কলেবরে সাজানো হয়। বিশ্বাস ১২বছর অন্তর অন্তর মায়ের আত্মা মূর্তি থেকে বেরিয়ে পড়েন।

সেই মূর্তিকে গঙ্গায় বিসর্জন দেওয়া হয়। এবং নতুন মূর্তি প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রত্যেক বছর কার্তিক পুজোর অমাবস্যায় হাজারো মানুষের ভিড় জমে এখানে। নিষ্ঠা সহকারে গভীর রাতে এখানে সিদ্ধেশ্বরী মাতা পুজিত হন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eighteen − 16 =