সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ :: নামখানা :: রবিবার ২৭,আগস্ট :: সুন্দরবনের উপকূল তীরবর্তী এলাকার মানুষদের আতঙ্কের অন্য নাম “কোটাল”। বর্ষাকালে পূর্ণিমা ও আমাবস্যার কোটালের নাম শুনলে সুন্দরবনের একাধিক উপকূল তীরবর্তী এলাকার মানুষের রাতের ঘুম উড়ে যায়।
বিগত কয়েক বছরে একাধিক ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সুন্দরবনের উপকূল তীরবর্তী এলাকায় বহু জায়গায় নদী বাঁধের বেহাল দশা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পর থেকে সুন্দরবনের মানুষজনের একটি মাত্র দাবী ছিল তা কংক্রিট এর নদী বাঁধ।
এখন কোটালের এর আগে আবারও নদী বাঁধ মেরামতি নিয়ে শুরু হয়েছে শাসক-বিরোধী তরজা।শনিবার গঙ্গাসাগরে কপিলমুনি আশ্রম সংলগ্ন এলাকার ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন রাজ্যের সেচ মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। নদী বাঁধ পরিদর্শনের পর সেচ মন্ত্রী বলেন বাঁধ মেরামতির ক্ষেত্রে কেন্দ্রের বঞ্চনার শিকার হচ্ছে রাজ্য সরকার।
তার ২৪ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই রবিবার সুন্দরবনের নামখানা ব্লকের বিভিন্ন এলাকার বেহাল নদী বাঁধ পরিদর্শন করতে হাজির হন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ফ্রেজারগঞ্জ, কয়লাঘাটা, কালিস্থান সহ একাধিক জায়গার বেহাল নদীবাঁধ সরোজমিনে খতিয়ে দেখেন তিনি ।
বেহাল নদী বাঁধ পরিদর্শনের পর বিজেপি সুকান্ত মজুমদার বলেন, নদী বাঁধ গুলির অবস্থা ভয়ংকর । আমফানের পর কেন্দ্র সরকার রাজ্য সরকারকে টাকা পাঠিয়েছিল । অথচ সেই টাকার কাজ হয়নি। শুধু বিজেপি পরিচালিত কেন্দ্র সরকার নয়।
কংগ্রেস আমল থেকেই রাজ্যের নদী বাঁধ গুলির সংস্কারের জন্য টাকা আসছে কিন্তু কাজ হচ্ছে না। বাঁধের কাজ হচ্ছে বাঁশ আর মাটি দিয়ে এর ফলেই বারে বারে বাঁধ ভেঙে যাচ্ছে। এ ভাবে কাজ হতে পারেনা ।