সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ :: জয়নগর :: বৃহস্পতিবার ১৩,মার্চ :: স্কুল রয়েছে কিন্তু স্কুলে দেখা মেলেনা পর্যাপ্ত পরিমাণে শিক্ষক শিক্ষিকার। শিক্ষক-শিক্ষিকা না থাকার কারণে ক্রমাগত কমছে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের সংখ্যা। বর্তমানে রয়েছে খাতায় কলমে ৪০ জন ছাত্র-ছাত্রী আর স্কুলে রয়েছে মাত্র দুজন শিক্ষিকা।
দুজন শিক্ষিকার মধ্যে একজন শিক্ষিকা স্কুলে আসেন অনিয়মিত। স্কুলে পর্যাপ্ত পরিমাণে শিক্ষক শিক্ষিকা না থাকার কারণে ছাত্র-ছাত্রীদের পঠন পাঠনের ক্ষেত্রে অনেক অসুবিধা হচ্ছে। বাধ্য হয়েই অভিভাবকরা নিজেদের বাচ্চাদের অন্যত্র ভর্তি করাচ্ছেন।
ছাত্র-ছাত্রীদের সংখ্যা কম থাকার কারণে অনিয়মিত হয় মিড-ডে মিল রান্না। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত হরিনারায়নপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে নন্দকুমারপুর গ্রামে নন্দকুমারপুর এসএসকে প্রাইমারি স্কুলের এখন এমনই চিত্র। স্কুলে রয়েছে চারটি শ্রেণিকক্ষ । চারটি শ্রেণিকক্ষ থাকার পরেও একটি মাত্র ক্লাসরুমে চলে লেখাপড়া।
মিড ডে মিল রান্না প্রায় হয়না বললেই চলে । কোন সময় ছাত্র-ছাত্রীদের জোটে বিস্কুট , কোন সময় আবার জোটে মিড ডে মিল। রাজ্যে যেখানে মিড ডে মিল চালানোর জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হয় প্রতি শিক্ষাবর্ষে সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে এই চিত্র ভাবিয়ে তুলছে এলাকাবাসীদের। এ বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা শোভা কর্মকার বলেন, স্কুলের ছাত্র ছাত্রী সংখ্যা অনেকটাই কম।
আমার শারীরিক সমস্যার কারণে আমি নিয়মিত স্কুলে আসতে পারিনা। শিক্ষিকার সংখ্যা দুজন আমি এবং অপর একজন শিক্ষিকা রয়েছেন। আমি নিয়মিত স্কুলে আসতে পারিনা সে বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে আমি জানিয়েছি।
স্কুল থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের পরিবারের লোকজন এসে নিয়ে যায়। রাস্তার পাশে স্কুল থাকার কারণে ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবক অভিভাবিকার এসে স্কুল থেকে নিয়ে চলে যায় তাদেরকে।
অনেক সময় রান্না করা হয় কিন্তু ছাত্র-ছাত্রী আসেনা। হরিনারায়নপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সুজাউদ্দিন শেখ জানান, এই বিষয় এলাকাবাসীরা আগে পঞ্চায়েতে কোন লিখিত আকারে অভিযোগ জানাননি।
আপনাদের মাধ্যমে অভিযোগ পেলাম আমরা । খুব শীঘ্রই ওই স্কুল পরিদর্শন করব। এর আগেও আমরা শুনেছি ওই স্কুলের নাকি বিকেল হলেই মদ জুয়ার আসর বসে। সম্পূর্ণ বিষয় আমরা খতিয়ে দেখবো।