সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ :: ভাঙ্গর :: ছুটির সকালে সরকারি জায়গা জবরদখল নিয়ে এক ব্যক্তির বাড়িঘর ভাঙচুর, মারধর এর ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ালো গোটা এলাকায় । আর এই ঘটনায় আবারও অভিযোগের আঙুল উঠলো আরাবুল ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে ।
এই ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন ইলিয়াস মোল্লা নামে ওই বাড়ির মালিক । রবিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে ভাঙড়ের কাশীপুর থানার শোনপুর খালপাড় এলাকায়। যদিও পুলিশ জানিয়েছে এই ঘটনায় কেউ কোন লিখিত অভিযোগ বেলা পর্যন্ত করেনি। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ওই এলাকায় একটি সরকারি খাস জায়গা কাশীপুর থানার জন্য চিহ্নিত করে নতুন ভবন তৈরি করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। ওই জমির মধ্যে কিছুটা অংশ ছিল ব্যক্তি মালিকানাধীন। যে কারণে পরবর্তী সময়ে ওই এলাকায় থানা তৈরীর পরিকল্পনা বাতিল হয়ে যায়।
ওই জমিতে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছিলেন ইলিয়াস মোল্লা। ইলিয়াসের বাড়ির ঠিক পাশেই ব্যক্তি মালিকানাধীন জমির কিছুটা অংশ কেনেন ছাগবত মোল্লা । অভিযোগ এদিন সকালে ওই জায়গা থেকে ইলিয়াসকে উচ্ছেদ করতে ছাগবত মোল্লা, সেলিম মোল্লা তাদের দলবল নিয়ে গিয়ে বাড়িঘর ভাঙচুর করে।
ইলিয়াস বাধা দিতে গেলে তাকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ইলিয়াসকে বাঁচাতে তার স্ত্রী ছুটে গেলে তাকেও রেয়াত করা হয়না বলে অভিযোগ।স্থানীয় বাসিন্দারা চিকিৎসার জন্য তাদের জিরানগাছা ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যায় । এই ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কাশীপুর থানার পুলিশ । এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। ছাগবত মোল্লা, সেলিম মোল্লা এলাকায় আরাবুল ইসলামের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত বলে অভিযোগ তুলেছে ইলিয়াস ও তার পরিবার ।
এ বিষয়ে ভাঙড় ২ নম্বর ব্লক তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি রহিম মোল্লা বলেন, কোন মানুষ যদি দীর্ঘদিন সরকারি জায়গায় বসবাস করে তাহলে তাকে এভাবে উচ্ছেদ করা যায়না। সেক্ষেত্রে তাকে পুনর্বাসন দেওয়াই নিয়ম । ইলিয়াস মোল্লা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমি ওই এলাকায় বসবাস করছি। কিন্তু ওরা সেই জায়গা জবরদখল করতে অন্যায় ভাবে আমার বাড়ি ঘর ভাঙচুর ও মারধর করেছে।
যদিও প্রত্যাশিত ভাবেই সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে আরাবুল ইসলাম জানায় ছাগবত মোল্লা নামে একজন ওই এলাকায় একটি জমি কিনেছে । সেখানে ইলিয়াস নামে একজন তার কেনার জমির উপর কোন নির্মাণ কাজ শুরু করেছে । তাই নিয়ে একটা গন্ডগোল হয়। এই ঘটনার সঙ্গে আমাদের দলের কেউ জড়িত নয়। ওরা মিথ্যা অভিযোগ করেছে দল ও আমাকে কালিমালিপ্ত করার জন্য । পুলিশকে ইতিমধ্যেই জানিয়েছি সঠিক তদন্ত করে যথাযথ ভাবে যেন আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয় ।