নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: অন্ডাল :: শনিবার ৬,জুলাই :: বেশ কিছুদিন ধরে মেয়ের কাছেই ছিলেন মায়া রানী বাগদি। সেই মেয়েই টোটোতে চাপিয়ে মাকে ছাড়লো দাদার বাড়ির সামনের গাছতলায়। মাকে দেখেও বাড়িতে জায়গা দিলো না গুনধর ছেলে আর বৌমা। সারা রাতই কাটলো চেয়ারে বসে গাছতলায়।
অন্ডালের উখড়ার চঞ্চনী এলাকায় এই ঘটনা এলাকাবাসীরা প্রত্যক্ষ করতেই শুরু হয় নিন্দার ঝড়। ঘটনাস্থলে পৌঁছালো পুলিশ। জানা গিয়েছে, মায়া রানি বাগদির তিন ছেলে আর এক মেয়ে। দুই ছেলে ইসিএল কর্মী ছিলেন আর এক ছেলে সুবোধ বাগদি একটি দোকানের কর্মী আর এক মেয়ের বিয়ে হয়েছে জামুড়িয়া এলাকায়। কিছুদিন আগে মাকে মেয়ে অঞ্জনা বাগদি তাঁর শ্বশুরবাড়ি জামুরিয়ায় নিয়ে যান।
মায়া রানী বাগদির দাবী, মেয়ে টোটোতে চাপিয়ে সুবোধের বাড়ির সামনে গাছতলায় একটি চেয়ারে বসিয়ে রেখে চলে যায়।চেয়ারে বসে না খেয়ে সারা রাত কাটাতে হয়েছে বলে দাবি অঞ্জনাদেবীর। বৌমা ভারতীর দাবি,”আমরা বের করিনি। ননদ আর ভাসুরের মেয়ে মিলে আমাদের বাড়ির বাইরে শাশুড়িকে নামিয়ে চলে যায়। আমাদের বলেও যায়নি বাড়ি ঢোকানোর জন্য।
সারারাত না খাইনি তো কি হয়েছে আমাদের তো বাড়ি ঢোকানোর জন্য বলেনি ননদরা। সেই জন্যই আমরা বাড়িতে ঢুকাইনি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় অন্ডাল থানার পুলিশ। পুলিশের হস্তক্ষেপে বাড়িতে জায়গা পায় অঞ্জনা দেবী।