নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: কাঁথি :: বুধবার ১,মে :: ছোট ভাইকে খুনের পরে পুকুর পা্ড়ে মাটির নিচে পুঁতে রেখে মৃতদেহ লোপাটের চেষ্টা দাদা ও বৌদির। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি থানার অন্তর্গত মহিষাগোট গ্রাম পঞ্চায়েতের রতনপুর গ্রামে এই ঘটনা সামনে আসতেই চক্ষুচড়কগাছ এলাকার মানুষজনের।
গত দশ দিন ধরে নিখোঁজ ছিল রতনপুর গ্রামের বাসিন্দা মিঠুন সাঁতরা। কর্মসূত্রে বাইরে থেকে আসার পর প্রতিবেশীরা তাকে দেখতে না পেয়ে খোঁজ খবর শুরু করলে মিঠুনের দাদা নারায়ণ সাঁতরা ও বৌদি সোমা সাঁতরা প্রতিবেশীদের জানায় সে বাইরে কাজে চলে গেছে।
প্রতিবেশীদের সন্দেহ হওয়ার পর তারা খোঁজখবর নিতে শুরু করে। এরপর প্রতিবেশীরা জানতে পারে একজন ব্রাহ্মণ এর কাছে শ্রাদ্ধ শান্তি দেওয়ার জন্য নারায়ণ কথাবার্তা বলেছে। এই বিষয় জানার পর প্রতিবেশীর নারায়ণ ও সোমাকে ঘিরে ধরে চাপ দিলে ও পুলিশের ভয় দেখালে ভাইকে মেরে ফেলার কথা স্বীকার করে নারায়ণ। তবে খুনের কথা জানতো না সোমা সাঁতরা এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।
গ্রামবাসীরা খবর দিলে উপস্থিত হয় কাঁথি থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় অভিযুক্ত নারায়ণ ও সোমাকে গ্রেফতার করেছে কাঁথি থানার পুলিশ। সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরেই ভাইকে খুন করে দেহ লোপাটের চেষ্টা করেছিল দাদা ও বৌদি এমনটাই প্রাথমিক অনুমান পুলিশের ।