নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: ঝাড়গ্রাম :: সোমবার ২৩,অক্টোবর :: পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন সংস্কৃতি বিদ্যমান এরই এক সংস্কৃতি জঙ্গলমহলের পুজোয় দেখা যায় এখানে পুজো মানেই বাড়ী বাড়ী তপসিলী উপজাতিদের নাচ ও দেদার আনন্দ। আর এই নাচ দেখলে নৃত্য দর্শনের জন্য তোফা উপহার অর্থ চাল বা কিছু সামগ্রী দেওয়ার চল দীর্ঘ দিনের।
বাঁকুড়া থেকে পুরুলিয়া মেদিনীপুর থেকে ঝাড়গ্রাম একই চিত্র চোখে পড়বে সে মেদিনীপুরের গড়বেতা হোক কী শালবনী পুরুলিয়ার হুড়া হোক কী রঘুনাথপুর। বাঁকুড়ার ওন্দা হোক কী শালতোড়া ঝাড়গ্রামের বিনপুর হোক কী সাঁকরাইল হোক। এই সংস্কৃতি এই বিস্তীর্ণ এলাকা ঘেরা সবুজ শ্যামল বনানীর সাঁওতালী গ্রামে গ্রামে চোখে পড়বেই এই দূর্গাপূজার সময়ে।
এই নাচের প্রতিটা তাল মিলিয়ে পা ফেলার পদাঙ্কনামা একই রকম হওয়ায় দেখতেও অপূর্ব লাগে। অনবদ্য এই নাচ মনোমুগ্ধকর পরিস্থিতি তুলে ধরে মনের অন্দরে। এই নাচ অনাবিল আনন্দ ঘটায় হৃদয়ের গোপন কক্ষের ভিতরে।
এই নৃত্য সাঁওতালী নাচ নামে প্রসিদ্ধ হলেও কোথাও কাঠি নাচ কোথাও খ্যাত আরও অনেক স্থানীয় নাম থাকলেও এক সুরে সাঁওতালী ভাষায় এক রকম ভাবে এই নাচ দেখার সময় মনে আপনার এক আলাদা অনুভূতি জাগিয়ে যে তুলবেই তা আর বার অপেক্ষা রাখে না।।