জঙ্গলমহলের মহকুমা শহর খাতড়ার প্রাচীন শ্মশানকালী মন্দিরের টানে আজও ছুটে আসেন ভক্তেরা

নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: খাতড়া :: মঙ্গলবার ২১,অক্টোবর :: জঙ্গলমহলের অন্যতম জাগ্রত মন্দির হিসাবে পরিচিত খাতড়া শ্মশানকালী মন্দির। এখানে কালী পুজোর সূচনা প্রায় শতাধিক বছর আগে।

ঘন শাল, পলাশ, মহুয়ার জঙ্গলে ঘেরা ছিল শ্মশানের মধ্যে ছোট পর্ণকুটির সেখানেই পুজো করা হত কালীর। আজ সেখানেই গড়ে উঠেছে দামি মার্বেল পাথরের ঝাঁ-চকচকে বিশালাকার কালী মন্দির। শান্ত, নিরিবিলি মন্দির চত্বরে ঢুকলেই শান্তির অনুভূতি হয়।কবে থেকে এই পুজোর সূচনা তা নিয়ে নানা মত রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, নিম্নবর্গের হাতে খাতড়ার শ্মশানে কালীপুজোর সূচনা হয়েছিল।

কথিত আছে, জনৈক উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিক তাঁর নিকট আত্মীয়ের দেহ সৎকারে এ শ্মশানে এলে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়। বৃষ্টির থেকে বাঁচার জন্য শ্মশানের কোথাও মাথা গোঁজার ঠাঁই পাননি তিনি।

পরবর্তীকালে মূলত তাঁর উদ্যোগেই শ্মশান কালী মন্দিরের সংস্কার শুরু হয়। এরপর শহরের বাসিন্দাদের উদ্যোগে প্রায় ৩৫ বিঘা জমির উপর ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে রামকৃষ্ণ, সারদা এবং বিবেকানন্দ মন্দির। গড়া হয় শিবমন্দির, রন্ধনশালা-সহ প্রসাদ গ্রহণের জন্য বিশাল হলঘর।

পুজোর দু’দিন আগে থেকেই মন্দির জুড়ে লাগানো হয় চোখ ধাঁধানো আলো। অমাবস্যার নিশিথ রাতেও আলোময় হয়ে ওঠে গোটা মন্দির চত্বর। ভক্তদের বিশ্বাস ভক্তিভরে প্রার্থনা করলে ফিরিয়ে দেন না মা ,সমস্ত মনস্কামনা পূর্ণ হয়।

ফি বছর কালীপুজোর দিনে এখানে প্রায় হাজার হাজার মানুষ ভীড় জমান। পুজোর পরের দিন চলে নরনারায়ণ সেবা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

18 + seventeen =