দেবেন তেওয়ারী :: সংবাদ প্রবাহ :: ঝাড়গ্রাম :: পুরভোট জিততে প্রাক্তন মাওবাদী নেতা ছত্রধর মাহাতর মুখই ভরসা পার্থ চট্টোপাধ্যায় এর |পুরসভার ভোট স্হানীয় পুর প্রশাসক মনোনীত করার ভোট,যেখানে শহরবাসীরা প্রধান ভোটার ।কিন্তু ঝাড়গ্রাম পৌরসভা ভোটে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ভরসা প্রাক্তন মাওবাদী নেতা ছত্রধর মাহাত এর অর্ধাঙ্গিনী নিয়তি মাহাত। তাকে মুখ করে পৌরভোটের কমিটি প্রকাশ করেন তিনি।
এছাড়াও পুরসভার ভোটে প্রচারের জন্য যে নামের তালিকা রয়েছে সেখানেও রয়েছে প্রাক্তন মাওবাদী নেতা শ্যামল মাহাত, নরেন মাহাত। নরেন আবার মাওবাদী প্যাকেজে চাকরিও করে।আর এখানেই জঙ্গলমহলে ফের মাওবাদী আন্দোলনের ছায়া দেখতে পাচ্ছেন ঝাড়গ্রাম বাসী এবং দলের একটা বড় অংশ।
মাওবাদী আন্দোলনের ভয়াবহ স্মৃতি এখনো টাটকা ঝাড়গ্রাম বাসীর কাছে নিয়তি মাহাত স্বামী ছত্রধর মাহাত এবং তার ভাসুর মাওবাদী নেতা শশধর মাহাত, জা সুচিত্রা মাহাতর তান্ডব ভোগ করতে হয়েছে ঝাড়গ্রাম বাসীকে। টানা ৪০দিন অবরুদ্ধ থেকেছে ঝাড়গ্রাম কিন্তু তবুও ঝাড়গ্রাম শহরে আক্রমন হয়নি। কিন্তু এই পুরসভা ভোট কে কেন্দ্র করে সেটাই হতে চলেছে বলে অভিমত ঝাড়গ্রাম বাসীর।
ফের জঙ্গল মহল জুড়ে শুরু হয়েছে মাও তৎপরতা। সম্প্রতি মাওবাদী দের ডাকা বনধ এ নজির বিহিন সাড়া পড়েছিলো। যা গত ১০ বছরে একদিন ও চোখে পড়েনি। ফের নতুন করে জঙ্গলমহল জুড়ে দূর্নিতির প্রতিবাদে হুশিয়ারি দিয়ে পোষ্টারিং শুরু করেছে মাওবাদী রা। জঙ্গলমহলে একাধিক জায়গায় মাওবাদী দের মিটিং এর খবর পাওয়া গেছে গোয়েন্দা সূত্রে।
শহরে১৬ নম্বর ওয়ার্ডে নতুন গড়ে ওঠা এক বস্তিতে মাওবাদী গতিবিধি লক্ষ্য করেছে গোয়েন্দারা। সেই বস্তি নির্মানে, এবং প্রক্তন মাওবাদী দের সেখানে থাকার জন্য পূর্ণ সহযোগিতা দেন ছত্রধর এর স্ত্রী নিয়তি মাহাত বলে রাজনৈতিক সূত্রের খবর।
পুরসভায় যাদের কে প্রার্থী করেছে শাসকদল তাদের ওপর বিরক্ত পুরসভার ভোটার থেকে শুরু করে স্হানীয় নেতা কর্মীরা। ভোটারদের ওপর আস্থা না রাখতে পেরে চক্রান্ত করে ঝাড়গ্রাম শহরের মানুষ কে আতঙ্কিত করে ভোট জিততে চাইছে তৃনমূল। ফের মাওবাদী দের এলাকায় জোর করে ডেকে আনা হচ্ছে। এতে নির্দিষ্ট এক দুজনের লাভ হলেও ঝাড়গ্রামের ব্যাপক ক্ষতি হয়ে যাবে।
স্থানীয়দের বক্তব্য এই ভোটে যে সমস্ত লোকজন দাড়িয়েছে দলের হয়ে তারা সুদখোর দূর্নিতি পরায়ন।এরা ভোটে জিতলে মাওবাদী রা এদের আক্রমণ করলে এরা পালিয়ে যাবে। আমাদের মরতে হবে। তাই এদের ভোট নয়। দিদির ভোটে আবার দিদি।