জনস্রোত আছড়ে পড়ল গঙ্গা সাগরে , আজ ও কাল চলবে পুণ্য স্নান

সুদেষ্ণা মন্ডল  :: সংবাদ প্রবাহ :: কলকাতা :: রবিবার ১৪,জানুয়ারি :: রবিবার ভোর থেকেই জনস্রোত আছড়ে পড়ল সাগরে। রবিবার ও সোমবার দুদিনই চলবে এই পূর্ণস্নান। যার জন্য সাগরে উপস্থিত ভারতের বিভিন্ন প্রান্তের তীর্থযাত্রীরা ।সাগর মেলা কে নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে তৈরি প্রশাসন। আর এই মহেন্দ্রক্ষনের জন্য সমস্ত রকমের পরিষেবা গত কয়েক দিন ধরে চালু রাখা হয়েছে প্রশাসনের তরফে।

               গঙ্গা সাগর এইi মুহুর্তে মিনি ভারত :: সংবাদ প্রবাহ নিজস্ব চিত্র

শনিবার বিকাল থেকে জমছিল ভীড়।অস্থায়ী শেডগুলি থেকে ভীড় উপচে তা চলে আসে খোলা আকাশের নিচে।উত্তরে হাওয়া আর প্রবল ঠান্ডাকে উপেক্ষা করে লক্ষ লক্ষ পূন্যার্থীর মুখে একটাই আওয়াজ কপিলমুনি কি জয়।গঙ্গা মাই কি জয়।

পূর্ণ্যস্নানের মহেন্দ্রক্ষন নিয়ে অন্য বছরের মত এবছর ও নানা মুনির নানা মত। বিশুদ্ধ পঞ্জি মতে রবিবার রাত ১২টা ১৫ থেকে শুরু করে পরের দিন রাত ১২টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত পূন্য স্নান । পূণ্যের অবগাহনে ডুব দিতে তাই ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসেছেন সকলেই।

            গঙ্গাসাগরে ভারতের নারী শক্তি :: সংবাদ প্রবাহ নিজস্ব চিত্র 

শুধু ভারতবর্ষ নয়, ভারতের বাইরে থেকে ও বহু পূণ্যার্থী এসে ভীড় করেছেন গঙ্গা সাগর মেলাতে । সাগরসঙ্গমে স্নান সেরে কপিলমুনির মন্দিরে পুজো দিয়ে ফিরছেন পুণ্যার্থীরা । রাতের অন্ধকার বা ভোরের কুয়াশা কোনো ও কিছুই বাদ সাধতে পারছেনা পূণ্যার্থীদের কাছে । আট থেকে আশি সকলের একটাই উদ্দেশ্য পূণ্য অর্জন। তাই ঠান্ডাকে উপেক্ষা করে কেউ দিয়েছেন গঙ্গায় ডুব আবার কেউ বা অপেক্ষা করছেন ডুব দেওয়ার জন্য। আর করবে নাই বা কেন? গঙ্গার ন্যায় গঙ্গা সাগরের মাহাত্ম অপরিসীম।

পুরো মেলা পরিচালনার জন্য সাগরে উপস্থিত আছেন রাজ্যের ছজন মন্ত্রী। তদারকির জন্য উপস্থিত আছেন বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরুপ বিশ্বাস , কৃষি মন্ত্রী শোভন দেব চট্টোপাধ্যায় , পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশীষ চক্রবর্তী, তথ্য ও সংস্কৃত মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, অগ্নি নির্বাপক মন্ত্রী সুজিত বসু ও সুন্দরবন বিষয়ক দপ্তরের মন্ত্রী বঙ্কিম চন্দ্র হাজরা।

                   গঙ্গা সাগরে মকর স্নান :: সংবাদ প্রবাহ নিজস্ব চিত্র 

সাগর মেলায় নজরদারির জন্য বাবুঘাট থেকে সাগরতট পর্যন্ত নজরদারির জন্য প্রায় আটশো সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে।সাতটি ড্রোন পাহারা দিচ্ছে। মেগা কন্ট্রোল রুম বানানো হয়েছে। প্রতিটা ছবি ড্রোনের ছবি ও ক্যামেরার ছবি পাঠানো হচ্ছে এই কন্ট্রোল রুমে। জোয়ার-ভাঁটার কারনে ভেসেল বা লঞ্চ পরিষেবা বন্ধ থাকলে তা বারবার জানানো হচ্ছে মাইকিং করে। এবার প্রথম ইসরোর প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে সাগর মেলার নিরাপত্তা অনেকটা নিশ্চিতও করা গেছে ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

6 + fourteen =