সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ :: জয়নগর :: রবিবার ২৫,আগস্ট :: হিন্দু ধর্মালম্বী মানুষের মধ্যে জন্মাষ্টমীর একটা বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। প্রতি বছর ভাদ্রপদে কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে সারা দেশে মহা আড়ম্বর সহকারে পালিত হয় ভগবান শ্রী কৃষ্ণের জন্মদিন। আর জন্ম অষ্টমী থেকেই উৎসবের সূচনা বলেই অনেকেই মনে করেন।
জন্মাষ্টমীতে শ্রীকৃষ্ণের প্রধান প্রসাদ তালের বড়া , নারকেল নাড়ু , মতিচুরের লাড্ডু নিবেদন করা হয় । এই উৎসবে আগে মা-ঠাকুরমারা নিজেরাই তাদের হাতে বানিয়ে নিতেন এই ধরনের বিভিন্ন নাড়ু। তবে এখন সময় বদলেছে । মানুষের কাজ বেড়েছে । যে কারণে এখন আর সেভাবে বাড়িতে এই ধরনের প্রসাদ তৈরি করতে দেখা যায়না। ভরসা করতে হয় দোকানেরই উপরে।
মূলত ভাদ্র মাসের কৃষ্ণ পক্ষের অষ্টমী তিথিতে এবং রোহিণী নক্ষত্রে জন্ম গ্রহণ করেছিলেন শ্রীকৃষ্ণ। আর সেই তিথি নক্ষত্র অনুযায়ীই পালিত হয় জন্মাষ্টমী। মোটমুটি ধনী, দরিদ্র, সাবেকি এবং আধুনিক হিন্দুরাও এই দিনটি পালন করে থাকেন নিজের নিজের সাধ্য মতো। তাই প্যাকেট বন্দি তালের বড়া , নারকেল নাড়ুর , লাড্ডু এই ধরনের প্রসাদের চাহিদা এখন তুঙ্গে ।
প্যাকেট করা নারকেলের নাড়ু , মতিচুরের লাড্ডু বাজারে দেদার বিক্রি হচ্ছে। আর এই নাড়ুর , লাড্ডুর জোগান দিতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর থানার বহুড়ু এলাকায় ঘরে ঘরে ও কারখানায় নারকেলের নাড়ু , মতিচুরের লাড্ডু আরো বিভিন্ন ধরনের জন্মাষ্টমীর প্রসাদ বানাতে ব্যস্ত মহিলারা। সেখান থেকেই প্যাকেটবন্দি নাড়ু , লাড্ডু চলে যাচ্ছে কলকাতা ও জেলার বিভিন্ন বাজারে।
এবিষয়ে এক ব্যবসায়ী বলেন জন্মাষ্টমীর জন্য এই ধরনের বিভিন্ন নাড়ুর , লাড্ডুর চাহিদা এখন তুঙ্গে । যোগান দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। আগে প্রায় বাড়িতে জন্মাষ্টমীতে নিজেরাই সব কিছু বানিয়ে ফেলতো। তবে এখন আর সেভাবে বাড়িতে বানানো প্রাসাদ দেখতে পাওয়া যায়না। দোকানের উপরেই ভরসা করেন অধিকাংশ মানুষজন । আর তাই এখান থেকে এই ধরনের নাড়ু , লাড্ডু প্যাকেট বন্দি হয়ে বিভিন্ন বাজারে পাইকারি হিসেবে চলে যাচ্ছে।