কুমার মাধব :: সংবাদ প্রবাহ :: মালদহ :: সরকারিভাবে কাগজ-কলমে ১০০ দিন প্রকল্পে পুকুর খননের জন্য দেখানো রয়েছে জবকার্ড ধারীদের নাম । কিন্তু আসল কাজের ক্ষেত্রে ওই প্রকল্পের জবকার্ডধারীদের কোনও কাজই দেওয়া হয় নি বলে অভিযোগ।
শ্রমিকদের বদলে মাটি কাটার কাজে নিযুক্ত করা হয়েছে জেসিবি মেশিন । আর সেই মাটি ট্রাক্টর করে পাচার করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এই ঘটনাকে ঘিরে গাজোল ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে সরকারি অর্থ তছরুপের অভিযোগ তুলেছে ঝাড়খন্ড দিশম পার্টির গাজোল শাখা নেতৃত্ব। যদিও পুরো বিষয়টি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে গাজোল ১ গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ।
এ ব্যাপারে ঝাড়খন্ড দিশম পার্টির পক্ষ থেকে গাজোল ব্লক প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে , গাজোল থানার অন্তর্গত গাজোলে ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের কৃষ্ণাভোগা এলাকায় লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে পুকুর খননের কাজ চলছে।
যেখানে এই মাটি খননের কাজটি চলছে, সেখানে সরকারি প্রকল্পের কি কাজ করা হচ্ছে ? কত টাকা সরকারি অর্থ এর জন্য বরাদ্দ হয়েছে ? তার একটি নির্দেশিকার বোর্ড টাঙানো হয়েছে।
কিন্তু মাটি কাটার ক্ষেত্রে কোনরকম ১০০ দিনের প্রকল্পের অন্তর্গত শ্রমিকদের ব্যবহার করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ। জেসিবি মেশিন এবং ট্রাক্টর দিয়ে এলাকার ঠিকাদারেরা রাতারাতি এই কাজ করছে। আর এনিয়ে স্থানীয় জব কার্ডধারী থেকে ঝাড়খন্ড দিশম পার্টির নেতা-কর্মীরা প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছেন।
ঝাড়খন্ড দিশম পার্টির গাজোল ব্লক সভাপতি ভবন সোরেন জানিয়েছেন , সরকারি নিয়ম অনুসারে ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পের জব কার্ড ধারীরা মূলত মাটিকাটার কাজ করে থাকেন। এজন্য সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি বোর্ড টাঙ্গানো হয়েছিল।
কিন্তু একশ্রেণীর ঠিকাদারের এই বোর্ডটি সরিয়ে ফেলেছে। জবকার্ড ধারীদের বদলে জেসিবি মেশিন দিয়ে মাটি কেটে , সেই মাটি অন্যত্র বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে ।সরকারের বরাদ্দ অর্থ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন জবকার্ড ধারীরা । এব্যাপারে প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। স্বচ্ছতার সাথে পুকুর খনন না হলে আগামী দিনে সংগঠনের পক্ষ থেকে বৃহত্তর আন্দোলন শুরু করা হবে। যদিও এপ্রসঙ্গে গাজোল ১ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান বিন্দু মাল অবশ্য কোনো রকম মন্তব্য করেন নি ।
গাজোলের বিডিও উষ্ণতা মুক্তান জানিয়েছেন, অভিযোগ গুরুতর । এই ধরনের কাজে অনিয়ম হলে তা বরদাশ্ত করা হবে না । যেখানে এই কাজটি হচ্ছে ব্লক প্রশাসন থেকে সেখানে প্রতিনিধি পাঠিয়ে সেটি তদন্ত করে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।