নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: বাঁকুড়া :: চলতি বছরে বাঁকুড়া জেলায় আউশ ও আমন ধান মিলিয়ে ৩ লক্ষ ৭৪ হাজার হেক্টরের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও পর্যাপ্ত বৃষ্টির অভাবে তা পূরণ হয়নি। এবার মাত্র ২ লক্ষ ৯৩ হাজার হেক্টর জমিতে ধানের চারা রোপন করা সম্ভব হয়।
কিন্তু শারদোৎসবের সময় ও তারপরে ধারাবাহিক বৃষ্টির ফলে মাথায় হাত চাষীদের। সামান্য যে টুকু পরিমান জমিতে ধানের চাষ করা সম্ভব হয়েছিল, সেই ফলনও বাড়িতে তুলতে পারবেন কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দিহান তাঁরা। অকাল বৃষ্টিতে সোনামুখী এলাকার কৃষিজীবি মানুষ চরম বিপাকে। ঐ এলাকায় জমিতে কেটে রাখা ধান জলের তলায়। ফলে লাভ তো দূরঅস্ত চাষের খরচটাই কিভাবে উঠবে ভেবে পাচ্ছেননা তারা বলেই জানিয়েছেন।
যদিও এই বৃষ্টিতে চাষের ক্ষতির কথা মানতে নারাজ জেলা কৃষি দপ্তর। বাঁকুড়া জেলা মুখ্য কৃষি আধিকারিক দীপঙ্কর রায় বলেন, সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে জেলায় যে বৃষ্টিপাত হয়েছে তা কৃষিকাজের পক্ষে শুভ। তবে আগামী দিনে বাদামি শোষক পোকার আক্রমণ না হলে ভালো ফলন মিলবে।
বৃষ্টিতে আমন ধানের কোন ক্ষতি হয়নি, আউশ ধান জমিতে কেটে না ফেলার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, এখন জেলায় পর্যাপ্ত পরিমানে ধান কাটার যন্ত্র রয়েছে। সেই যন্ত্রের ব্যবহার করলে ক্ষতির সম্ভাবনা থাকবেনা বলে তিনি জানান।