নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: আসানসোল :: সোমবার ১২,ফেব্রুয়ারী :: সালানপুর ব্লকের বাসুদেবপুর জেমারী পঞ্চায়েতের অন্তর্গত শিরীষবেড়িয়া মৌজার ২২ নম্বর দাগে মালিকানা নিয়ে শুরু হয়েছে বিবাদ।রামচন্দ্র সাউ ও শফিকুল ইসলাম দুজনেরই দাবি এই জায়গার মালিক তারা।এই নিয়ে কোর্টে মামলা দায়ের করেছেন রামচন্দ্র সাউ।
তবে মামলার কোর্টে উঠার আগেই ওই জায়গায় জোরপূর্বক ভাবে বাউন্ডারি ওয়ালের কাজ করছেন শফিকুল ইসলাম এমন অভিযোগ তুলেছেন রামচন্দ্র সাউ।তিনি জানান দীর্ঘ ২৫ বছর আগে এই জায়গা তিনি সংগ্রহ করেন।কিছু জায়গার পরিমাণ রাস্তায় গেলেও বাকি সমস্ত জায়গা তার।তার নামে দলিল থেকে শুরু করে পর্চা রয়েছে।তারপরেও কিভাবে এই জায়গার মালিক শফিকুল ইসলাম হয়ে থাকে।তিনি আরো অভিযোগ করেন কোর্টে মামলা চলছে তা সত্বেও জোরপূর্বক ওই জায়গা দখল করেছে শফিকুল ইসলাম ও তার বাবা নুরুল ইসলাম।বারবার পুলিশকে বলার পরেও পুলিশ আসেনি যখন অর্ধেকের বেশি জায়গায় বাউন্ডারির কাজ হয়ে যায়।তারপর পুলিশ এসে কাজ বন্ধ করেন।
উল্টো দিকে শফিকুল ইসলাম বলেন তিনি কলকাতার জমির আসল মালিকের থেকে জায়গা ক্রয় করেছেন।তার দলিল,পর্চা, পঞ্চায়েতের অনুমতি সব কিছু রয়েছে।তাই তিনি নিজের জায়গায় বাউন্ডারি করছেন। তবে তিনি এও জানান যে তার কাজে বাধা দিচ্ছে রামচন্দ্র সাউ ও তারই কিছু লোকজন।বারবার এসে কাজে বাধা দেবার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি এও বলেন এই জমির উপর কোনো ইনজাংশন বা ১৪৪ ধারা লাগু নেই।
তারপরেও পুলিশ তার কাজ বন্ধ করিয়েছে।তবে তিনি আইন মানেন,তাই তিনি আইনি পথেই যাবেন।শফিকুল ইসলাম অভিযোগ তোলেন রামচন্দ্র সাউ জালিয়াতি করে এক ব্যক্তির কাছে জায়গা হাতিয়ে নিয়েছেন।আইন বিচার করবে আসল মালিক কে জমির।তবে ঘটনা স্থলে পুলিশের দেরিতে আসায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রামচন্দ্র সাউ।