জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার জেলায় কোথাও কাঠের দোকান আবার কোথাও মুদির দোকানে অস্থায়ী চেম্বার করে রোগীদের প্রতারিত করছে ভুয়ো ডাক্তার।

নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: জলপাইগুড়ি :: রবিবার ১,সেপ্টেম্বর :: রাজ্যে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে এত হইচই হলেও জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার জেলায় কোথাও কাঠের দোকান আবার কোথাও মুদির দোকানে অস্থায়ী চেম্বার করে রোগীদের প্রতারিত করছে ভুয়ো ডাক্তার। প্রতিটি রোগীকে দুই হাজার টাকার উপর ওষুধ দেওয়া হচ্ছে।

রোগীদের কাছ থেকে ১৫০ থেকে ২০০ টাকার ভিজিট নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। এই চক্রের সাথে জড়িত রয়েছে ফালাকাটার মাদারিরোডের জামতলার একটি আয়ুর্বেদিক দোকান। অভিযোগ এই দোকানের এক মহিলা ভুয়ো ডাক্তারদের নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় চেম্বার বানিয়ে ভিজিট সহ মোটা অংকের ওষুধ দিয়ে রোগীদের প্রতারিত করছে।

শুক্রবার ধূপগুড়ির ঠাকুরপাঠ এলাকায় একটি কাঠের দোকানে রোগী দেখতে শুরু করেন ফালাকাটার এই চক্র। এদিন সেখানে গিয়ে ছাপানো প্রেসক্রিপশনে দেখা যায় ডাঃ একে ঘোষ এবং ডাঃ অসীম কুমার সিংহের নামে ছাপানো প্রেসক্রিপশনে ওষুধ লেখা হচ্ছে। এমনকি সেই প্রেসক্রিপশনে স্পেশালিস্ট ডাক্তার বলে উল্লেখ রয়েছে।

সাংবাদিক দেখেই ভুয়ো ডাক্তার নিজেকে কবিরাজ হিসেবে পরিচয় দেয় এবং তার সঙ্গে এই চক্রের সাথে জড়িত সম্পা বর্মন নামে মহিলাটি নিজেকে শাসক দলের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচয় দেয়। অথচ ব্লক স্বাস্থ্য অধিকর্তা বলছে, রেজিস্ট্রেশন নম্বর ছাড়া কেউ ডাক্তার লিখতে পারেনা। যদি লিখে সেটা ভুয়ো ডাক্তার।

অভিযোগ, ফালাকাটার মাদারিরোডের জামতলার চক্রটি ধূপগুড়ি, বানারহাট, ফালাকাটা, চাংড়াবান্দা সহ বিভিন্ন এলাকায় রমরমিয়ে রোগীদের ঠকিয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও যে সমস্ত ওষুধ দেওয়া হচ্ছে সেগুলির গুণগত মান নিয়েও উঠছে প্রশ্ন অথচ এক একটি রোগীকে ভিজিট ছাড়াই দেওয়া হচ্ছে দুই হাজার টাকার উপর ওষুধ বলে অভিযোগ।

যদিও এ কে ঘোষ নামে ঐ ভুয়ো ডাক্তার বলেন, আমি অনলাইনে ডাক্তারি কোর্স করেছি‌। সম্পা বর্মন নামে মহিলাটি দাবি করে তার ওষুধ কাজ করেছে। জানা গেছে, বেশ কিছুদিন আগে ফালাকাটার এই ভুয়ো ডাক্তারের চক্র ধূপগুড়ির ঝালটিয়া হাটে চেম্বার করেছিল। সেখানে ডাক্তার দেখাতে আসা বিশ্বজিৎ দাস বলেন, আমি আমার স্ত্রীকে দেখাই। জানতাম না সেটি ভুয়ো ডাক্তার।

আমার কাছে ২০০ টাকার ভিজিট নেয় এবং ২৫০০ টাকার ওষুধ দেয়। সেই ওষুধ কিছু কাজ করেনি। পরবর্তীতে জানতে পারি সেই ওষুধও ভুয়ো ওষুধ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fifteen − seven =