নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: নদিয়া :: বুধবার ১২,জুন :: জামাইষষ্ঠীর আগে নার্সিংহোম থেকে নিখোঁজ অসুস্থ শ্বশুর। হন্যে হয়ে পরিবারের সাথে শশুরকে খুঁজে বেড়াচ্ছে জামাই। কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর এবং জেলা পুলিশের শরণাপন্ন জামাই সহ গোটা পরিবার।
পরিবার সূত্রে জানা যায় গত ৩ তারিখে হার্নিয়ার অপারেশনের কারণে কৃষ্ণনগর পালপাড়া মোড় সন্নিকটে একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ৭৪ বছর বয়সী প্রশান্ত দেবনাথকে ভর্তি করা হয়। প্রথমে প্রশান্ত বাবুকে ভর্তি করা হয়, মেডিকেল বিভাগে, সেখান থেকে চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ করে এরপর পরবর্তীতে তার অস্ত্রপ্রচার করা হবে বলে চিকিৎসকেরা জানান রোগীর পরিবারকে।
চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী বসন্ত বাবুকে ভর্তি করেন তার পরিবারের লোকেরা ওই বেসরকারি নার্সিংহোমে। এরপর হাসপাতালে দুদিন কাটানোর পরে তাকে স্থানান্তরিত করা হয় আইসিউতে। এর পরেই হঠাৎই সোমবার হাসপাতাল থেকে ফোন করে প্রশান্তবাবুর পরিবারকে জানানো হয় যে তাদের রোগী হাসপাতালের আইসিইউ বেড থেকে নিখোঁজ। তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
এর পরেই হন্তদন্ত হয়ে পরিবারের লোকজন হাসপাতালে গিয়ে উপস্থিত হন। পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতালে ভরসা এবং দায়িত্বেই আমরা আমাদের রোগীকে সেখানে ভর্তি করি ।প্রশান্তবাবুর জামাই বলেন, হাসপাতালে দায়িত্ব আমার শ্বশুরমশাইকে খুঁজে দেওয়ার। যথার্থভাবে তারা আমাদের সহযোগিতা করতে পারেনি।
তাদের দায়িত্বে যখন আমরা আমাদের রোগীকে হস্তান্তর করেছি তাদের উচিত আমাদের রোগীকে আমাদের হাতে তুলে দেওয়া। সে জায়গায় তারা আমাদের ফোন করে জানতে চাইছেন রোগী বাড়িতে গেছেন কিনা। পরিবারের দাবি একটু সরকারি হাসপাতাল নয় ঝা চকচকে প্রাইভেট নার্সিং হোম সেখানে নিরাপত্তার এই অবস্থা !
পরিবারের এই অভিযোগ, হাসপাতালে বলতে গেলে তারা বলেন পুলিশে গিয়ে ডায়েরী করে আসতে। এরপর কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানায় ডায়েরি করতে গেলে থানা থেকে ডাইরি নেওয়া হয়নি। না থেকে পরিবারকে জানানো হয় ডায়েরি করতে গেলে করবেন রোগী যেখান থেকে নিখোঁজ হয়েছে সেই সংস্থাকে জানানো হয়েছে
কোথাও যখন কোন কিছু সুরাহা মিলছে না ।
এরপর পুলিশ সুপার এবং জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দ্বারস্থ হয়। বেসরকারি হাসপাতালে নগদ টাকা সেভাবে না লাগলেও স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থেকে চিকিৎসার জন্য ৩১ হাজার ৮০০ টাকা কেটে নেওয়া হয়েছিল হাসপাতালের তরফ থেকে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের কোনরকম দায়িত্ব পালন করেনি বলেই অভিযোগ রোগীর পরিবারের।