নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: আসানসোল :: সাধক বামাক্ষ্যাপা পূজিত মহীশাবুড়ি মা কালী আজও জামুরিয়া শিল্পাঞ্চলের অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু।এইখানে মা কালীর সঙ্গে পূজিত হন সাধক বামাক্ষ্যাপা। জামুরিয়া থানার অন্তর্গত ইকড়া গ্রামের অদূরে জঙ্গলের মধ্যে থাকা মহিষা বুড়ি কালী মায়ের মন্দির।ইকড়া গ্রামের বাসিন্দা অক্ষয় বন্দ্যোপাধ্যায় জানান বাংলার ১৩১৩ সালের ৫ই কার্তিক সোমবার, ইং ১৯০৬ সালের ২৩শে অক্টোবর বামাক্ষেপা তার প্রিয় ও প্রধান শিষ্য ঋষিকেশ চট্টোপাধ্যাযের বাড়িতে প্রথম ইকড়া গ্রামে পদার্পন করেন।
তিনি ৫ই কার্তিক থেকে ৮ই কার্তিক চারদিন ইকড়া গ্রামে ছিলেন। সেই সময় জঙ্গলের মধ্যে অশস্থ গাছের নিচে ধ্যান করেছিলেন বামদেব। বামদেবের ত্রিশূল মালা সহ বেশ কিছু সামগ্রী বামদেবের প্রধান শিষ্য ঋষিকেশ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে ছিল। পরে বামদেবের সংগ্রহশালায় সেগুলো নিয়ে যায়।
এই পুজোর জন্য সারাবছর অপেক্ষা করেন গোটা গ্রাম সহ আশপাশের অঞ্চলের বাসিন্দারা। পুজোর পরের দিন সর্বস্তরের মানুষকে খিচুড়ি ভোগ খাওয়ানো হয়। সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত যোগদান বামাক্ষ্যাপা পূজিত মহিষা বুড়ি কালী মন্দির ঐতিহ্য আজও অব্যাহত।