নিজস্ব সংবাদদাতা :: হুগলি :: সংবাদ প্রবাহ :: জার্মানে চাকুরী করতে গিয়ে আলাপ ত্রিয়া আর জানিএলের। জার্মানের বর আর ভারতের তথা হুগলির কনে। জার্মান বরের ইচ্ছা অনুযায়ী বাংলার লোক সংস্কৃতিকে কাছে টেনে বিয়ের বাগদান পর্ব মিটলো মঙ্গলবার রাতে।
আর মানুষের সামাজিক বিশ্বাস, আচার, রীতিনীতি ও তাদের সংস্কৃতিকে পরিচয় করে দিতেই বিবাহের বাগদান পর্বে অভিনব অনুষ্ঠানের আয়োজন করলো গৃহস্বামী। চুচুঁড়ার নিকটে মহেশপুরে গ্রাম্য পরিবেশে শোভারাণী অনুষ্ঠান বাড়ীতে মঙ্গলবার বসেছিল লোকসংস্কৃতির বিভিন্ন আঙ্গিকের অনুষ্ঠান। কি ছিল না।
ছিল সাঁওতালী নৃত্য, আদি অকৃত্রিম ব্রতচারী নৃত্য। হবু কনের ইচ্ছেমতো হাজির হয়েছিল আমনান হতে সাঁওতালী নৃত্যের দল,আর ছিল গান্ধীগ্রামের শিবদুর্গা ব্রতচারী মন্ডলীর সদস্যরা। বাংলার লোকনৃত্য লোকগীতি মন কারে সকলের তবে অবশ্যই হাজির ছিল জার্মানের হবু বর এবং তার সাথে বরযাত্রী ।
জার্মান থেকে বিয়ে উপলক্ষে এসে বাংলার সংস্কৃতির সংগে মিলেমিশে একাকার হয়ে আনন্দে মেতে ওঠেন। শুধু কি তাই । অনুষ্ঠানের প্রাংগনে রীতিমতো লোকশিল্পীদের সাথে নৃত্য পরিবেশন করে সবাইকে জানান দিলো আমরাও তোমাদের পাশে আছি।
চুচুঁড়া স্টেশন পল্লীশ্রীর কনে ত্রিয়া জেলার মানুষের সামাজিক বিশ্বাস, আচার, রীতিনীতি ও তাদের সংস্কৃতিকে পরিচয় করিয়ে দিতেই এই আয়োজন বলে জানিয়েছে। ২০১৪ সালে জার্মানি জান চুঁচুড়া থেকে ত্রিয়া।