জীবিত থাকা সত্ত্বেও সরকারি কাগজে মৃত দেখানো হয়েছে তাঁকে—আর সেই কারণেই বছরের পর বছর ধরে বন্ধ রয়েছে বৃদ্ধভাতা।

নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: পূর্বস্থলী :: বুধবার ৩০,জুলাই :: জীবিত থাকা সত্ত্বেও সরকারি কাগজে মৃত দেখানো হয়েছে তাঁকে—আর সেই কারণেই বছরের পর বছর ধরে বন্ধ রয়েছে বৃদ্ধভাতা।

ঘটনাটি পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলী ২ নম্বর ব্লকের নিমদহ পঞ্চায়েতের অন্তর্গত পলাশবেরিয়া গ্রামের। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি বছর ৮০-র সুধীর বিশ্বাস।

বিগত কয়েক বছর ধরে পঞ্চায়েত, বিডিও অফিস থেকে মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর পর্যন্ত একাধিক জায়গায় দরবার করেছেন তিনি, কিন্তু আজও মেলেনি সুরাহা।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে বুধবার নিমদহ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নীলিমা মণ্ডল বলেন, ‘‘প্রতি ছ’মাসে লাইফ সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার নিয়ম আছে। তা জমা না দেওয়াতেই ভাতা বন্ধ হয়েছে”।

কিন্তু সুধীরবাবুর দাবি, ‘‘লকডাউনের আগে পর্যন্ত প্রতি মাসে ৪০০ টাকা করে ভাতা পেতাম। এরপর হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়। কারণ জানতে পারিনি। পরে শুনি আমাকে সরকারি নথিতে মৃত দেখানো হয়েছে”।

এ প্রসঙ্গে সুধীরবাবুর ছেলে সুভাষ বিশ্বাস বলেন, ‘‘আমি পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী ছিলাম। হয়তো সেই রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জেরেই বাবার নাম কেটে দেওয়া হয়েছে”।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × two =