জেলায় জেলায় বিজেপির বিজয়া সম্মিলনী। তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অস্ত্রে শান।

নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: ডেবরা :: মঙ্গলবার ৭,নভেম্বর :: জেলায় জেলায় বিজেপির বিজয়া সম্মিলনী। তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অস্ত্রে শান। কিন্তু, পদ্মের ঘরোয়া কোন্দলে লাগাম পরানো গেল কি? প্রশ্ন রয়ে গেল বিজেপির অন্দরেই। বছর ঘুরলেই বঙ্গে লোকসভা ভোট। গ্রাম দখলের লড়াই। তার আগে বিজয়া সম্মেলনকে সামনে রেখেই জনসংযোগে নামে পদ্ম ব্রিগেড। উদ্দেশ্য ছিল মূলত দু’টি।

তৃণমূলের বিরুদ্ধে আক্রমণে শান এবং বিজেপির ঘরোয়া কোন্দলে লাগাম টানা। সেইমতো ঘাটাল সাংগঠনিক জেলাতেই ঘটা করে বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করলো বিজেপি। সোমবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরা বাজার সংলগ্ন এলাকায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

এদিন গেরুয়া শিবিরের বিজয়া সম্মিলনী থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ইস্যুতে শান দেন বিরোধী দলনেতা। ডেবরায় বিজয়া সম্মিলনী থেকে দল কর্মী ও নেতৃত্বদের প্রথমে শুভেচ্ছা জানান, এরপরই মমতা ব্যানার্জী তথা তৃণমূল সরকারকে এক হাত নেন বিরোধী দলনেতা।একটার পর একটা মঞ্চ থেকে তোপ দাগতে থাকেন।

শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “আপনারা জানেন ২০২১ এর নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টি, ১৪৮ টা আসন পায়নি, কিন্তু তারপরেও এই ভারতীয় জনতা পার্টিকে আপনারা বিরোধী দলের মর্যাদা দিয়েছেন।৭৭টি কেন্দ্রে আমাদের প্রার্থী জিতেছিল, এবং শতাংশের হিসাবে ৩৮ এর কিছু বেশি ভোট পেয়ে আপনারা বিশ্বাসযোগ্য বিকল্প বিরোধী শক্তি দিয়েছিলেন।

মমতা ব্যানার্জির চোরের সরকারের আড়াই বছর পূর্ণ হয়ে গেল। আমি শুধু জানতে চাইবো ১১ সালে সিপিএমের বিরোধী দলের ভূমিকা, ১৬ তে প্রধান দল কংগ্রেসের ভূমিকা আর ২১ প্রধান বিরোধী দল বিজেপির ভূমিকার পার্থক্য আপনারা নিশ্চয় ভালো করে বুঝতে পারছেন।

আজকে এই যত চুরি দুর্নীতি বেরোচ্ছে,এগুলো ১২ সাল থেকে হয়েছে। এর পরেই সাল গুলো তৃণমূলের কাছে গোল্ডেন ইয়ার ছিল। সেই সময় মমতা ব্যানার্জির নেতৃত্বে এই চুরি গুলি করেছে।” শুভেন্দু আরও বলেন,”পিসিমনি হলেন আসল চোর, তিনিই “চোরদের রানী” তিনি ২১ সালে সংখ্যালঘুদের ভুল বুঝিয়ে ভোটে জিতেছে।কিন্তু তারপরেও শুভেন্দু অধিকারী তাঁকে কুপোকাত করে দিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eleven − six =