নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :; বর্ধমান :: বুধবার ১৭,জুলাই :: জীবনের কোনো এক মুহূর্তে কোনো আবেগ বা উত্তেজনার বশে মানুষ হয়তো অনেক ভুল করে বসে। কিন্তু আসল কথা সেই ভুলকে সংশোধন করে আবার নতুন করে জীবনকে ভালোবাসা।
সেই কাজটাই করলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের শিলদায় ইএফআর ক্যাম্পে হামলা চালানোর ঘটনায় মূল অভিযুক্ত প্রাক্তন মাওবাদী নেতা অর্ণব দাম ওরফে বিক্রম। ইতিহাসে মাস্টার করা অর্ণব পিএইচডি করতে চান । অর্ণব বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ইতিহাস নিয়ে গবেষণার জন্য পিএইচডির প্রবেশিকা পরীক্ষা দিয়েছিলেন।
পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হলে দেখা যায় ২৪৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ইন্টারভিউয়ে প্রথম হয়েছেন তিনি। কিন্তু বাধ সাধে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য। তিনি কিছু আইনগত কারণ দেখিয়ে কাউন্সিলিং বন্ধ করে দিয়েছিলেন।
এর পরেই মাঠে নামেন তৃণমূল নেতা কুনাল ঘোষ। তিনি প্রথমে কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং কারামন্ত্রী অখিল গিরির সঙ্গে।শেষে কথা হয় উপচার্যের সঙ্গে। শেষ পর্যন্ত সমস্ত জট কাটিয়ে মেধাবী ছাত্র অর্ণব জেলে বসেই পিএইচডি করার সুযোগ পান ।
সোমবার প্রায় ঘণ্টা দুয়েক ধরে ইতিহাস বিভাগে অর্ণবের কাউন্সেলিং হয়। তার পর বেলা ৩টে ৫৫ মিনিটে তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পুলিশের গাড়িত চাপিয়েই নিয়ে যাওয়া হয় বর্ধমান কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে। অর্ণব বলেন, তিনি খুবই খুশি। আবার নতুন করে পড়াশুনার জগতে প্রবেশ করতে পারবে বলে।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আজ কাউন্সেলিং হল। আমার পিএইচডিতে ভর্তি নিয়ে যে জটিলতা তৈরি হয়েছিল, আশা করি আজ তার অবসান হল।” একই সঙ্গে তিনি রাজ্য সরকার, কুনাল ঘোষ ও বিশ্ববিদ্যালয়কে ধন্যবাদ জানান। এবার শুরু হতে চলেছে অর্ণবের জীবনের নতুন অধ্যায়।