জোরা মৃতদেহ উদ্ধারের ২ ঘণ্টার মধ্যে মঙ্গলবার রাতেই তিন আততায়ী গ্রেফতার করে জোড়া খুনের তদন্তে সাফল্য পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের

নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: বর্ধমান :: বুধবার ১৮,ডিসেম্বর :: মঙ্গলবার বিকেলে বর্ধমানের এক বাসিন্দা সুপর্ণা চৌধুরী নামে একজন মহিলা ভাতার থানায় এসে জানান যে ওনার মেসো অভিজিৎ যশ এবং মাসি ছবিরাণী যশের সঙ্গে গত তিনদিন ধরে ফোনে কোন যোগাযোগ করে উঠতে পারছেন না এবং ভাতার রবীন্দ্রপল্লীতে ওনাদের বাড়িটিও বাইরে থেকে তালা দেওয়া আছে।

আত্মীয়-স্বজন এবং স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় ভাতার পুলিশের উপস্থিতিতে বাড়ির তালা ভেঙে ওনারা ভেতরে প্রবেশ করে দেখেন মেসোমশাই এবং মাসীমা দুজনেই রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝের উপর মরে পড়ে আছে। ঘরের মধ্যে সমস্ত জিনিসপত্র এলোমেলো অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ভাতার থানাতে এই খবরটি আসার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ সুপার সায়ক দাসের নেতৃত্বে একটি সিট গঠন করা হয়।

পুলিশ ডগ অতি দ্রুত চলে আসে ঘটনাস্থলে। মৃত ব্যক্তিদের আত্মীয় পরিজনদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। টেকনিক্যাল সাপোর্টস টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছায় । ম্যানুয়াল সোর্সের মাধ্যমে জানা যায় যে মৃত অভিজিৎ বাবুর সেজ শালীর মেয়ে মহুয়া সামন্ত ওরফে কেয়া সামন্ত বিভিন্ন সময়ে এদের কাছে টাকার দাবি করত কিন্তু এনারা অপমান করে তাড়িয়ে দিতেন।

প্রাথমিক তদন্তে টেকনিক্যাল ইনপুট ও ম্যানুয়াল সোর্সের মাধ্যমে জানা গেছে যে পূর্ব আক্রোশ বশত গত শনিবার অর্থাৎ ইংরেজির ১৪/১২/২৪ তারিখ দুপুরবেলা মহুয়া সামন্ত এবং তার দুই ছেলে অরিত্র সামন্ত এবং অনিকেত সামন্ত অভিজিত যশ ও ছবিরানী যশকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং ঘরে থাকা মূল্যবান জিনিসপত্র এবং টাকা নিয়ে চলে যায়, যাবার সময় বাড়িটির বাইরে থেকে তালা বন্ধ করে চলে যায়।

অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদের পর অপরাধীরা তাদের অপরাধ স্বীকার করে। বুধবার অপরাধীদের আদালতে পেশ করা হবে এবং পুলিশ রিমান্ড নেওয়া হবে। এছাড়াও বুধবার পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের তরফ থেকে ফরেনসিক টিমকে ডাকা হয়েছে ঘটনাস্থলের পুঙ্খানুপুঙ্খ পর্যবেক্ষণের জন্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

8 − 3 =