ঝাউবন থেকে কিশোরীর হাত-পা বাঁধা দেহ উদ্ধার জুনপুটে

নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: জুনপুট :: সোমবার ২৭,অক্টোবর :: ঝাউবন থেকে কিশোরীর হাত-পা বাঁধা দেহ উদ্ধার হল। মৃতার নাম অর্চনা পণ্ডিত (১৫)। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথির জুনপুট থানার গোপালপুরে। কিশোরীর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।

মৃত্যুর কারণ ময়নাতদন্তের পরই জানা যাবে বলে পুলিশ জানিয়েছে। জুনপুট থানার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। এদিন গোপালপুর সমুদ্র উপকূলে ঝাউবনে ওই কিশোরীর দেহ দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। হাত-পা বাঁধা পড়েছিল কিশোরী। গলায় ওড়না জড়ানো ছিল। জুনপুট থানায় খবর দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পেয়ে আসে পুলিশ।

কিশোরীকে এখানে নিয়ে এসে মারা হয়েছে নাকি অন্য কোথাও খুন করে এখানে ফেলে রাখা হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। মৃতাকে তাঁরা চেনেন না বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন। ফলে তার বাড়ি ওই এলাকায় নয় বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করে পুলিশ।

কিশোরীর পরিচয় জানা যায়। তার বাড়ি কাঁথি থানার কাঁথি দুই দেশপ্রাণ ব্লকের সরদা গ্রাম পঞ্চায়েতের দূরমুঠ গ্রামে। গতকাল (শনিবার) বিকাল ৩টা নাগাদ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যায়। এদিন তার দেহ উদ্ধার হয়েছে। এদিকে, গোপালপুরের মতো পর্যটন এলাকায় কিশোরীর হাত-পা বাঁধা দেহ উদ্ধারের পর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

শাসকদল ও পুলিশকে আক্রমণ করেছে গেরুয়া শিবির। বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি অসীম মিশ্র বলেন, “ওই এলাকায় সমাজ বিরোধীদের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। পুলিশ ওখানে শুধু টাকা তোলার কাজ করে। সমাজবিরোধীরা যে চোরাচালান করে, তা দেখেও উদাসীন পুলিশ-প্রশাসন।

সমাজবিরোধীদের দৌরাত্ম্য কতটা বেড়েছে, কিশোরীর হাত-পা বাঁধা দেহ উদ্ধারই তার প্রমাণ। ওই এলাকায় চোরাচালান বেড়েছে। কোস্টাল থানার আধিকারিকরা কী করছেন? কী দায়িত্ব পালন করছেন?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fifteen − one =